সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের নামে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে ৩৩ গুণ। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষে বাংলাদেশিদের নামে থাকা জমার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ—বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮,৯৭২ কোটি টাকা (প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে)।
২০২৩ সালে এই অঙ্ক ছিল মাত্র ২ কোটি ৬৪ লাখ ফ্রাঁ বা প্রায় ৩৯৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ২৩ গুণ। ২০২২ সালের শেষে এ পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৮৪ লাখ ফ্রাঁ (প্রায় ৮৭৬ কোটি টাকা)।
এসএনবি-এর প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, এই অর্থের বড় একটি অংশ বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পাওনা, যা মূলত বাণিজ্য লেনদেন সংক্রান্ত। তবে আমানতকারীদের অর্থ এবং পুঁজিবাজারে বাংলাদেশের বিনিয়োগের অংশও রয়েছে এর মধ্যে।
তবে অর্থ পাচারজনিত উদ্বেগও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও এসব অর্থ অবৈধভাবে এসেছে—এমন কোনো প্রমাণ এখনো সুইস কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে দেয়নি। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) একাধিকবার সুইস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও, কোনো ব্যক্তির নামসহ নির্দিষ্ট তথ্য পায়নি।
সুইজারল্যান্ড বারবার বলে এসেছে—অবৈধ অর্থপাচারের প্রমাণ দিলে তারা তথ্য দিতে প্রস্তুত। তবে কেউ অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে অর্থ গচ্ছিত রাখলে বা শিল্পকর্ম, স্বর্ণ কিংবা দুর্লভ জিনিসপত্র ভল্টে রাখলে, সেসব হিসাব SNB-এর প্রকাশিত তথ্যে ধরা পড়ে না।
 
                 
                                                                                                             
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                