রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে চুরি করা গম বাংলাদেশ আমদানি করছে—এমন অভিযোগ এনেছে ইউক্রেন। বিষয়টি থামাতে একাধিকবার সতর্ক করলেও কাজ না হওয়ায় ইউক্রেন এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারতের ইউক্রেন দূতাবাসে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ওলেক্সান্ডার পোলিশচুক জানান, রাশিয়া চুরি করা গম নিজের গমের সঙ্গে মিশিয়ে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে, যা একটি অপরাধ।
রয়টার্সের হাতে পাওয়া নথি অনুযায়ী, দিল্লির ইউক্রেন দূতাবাস ২০২৪ সালে একাধিকবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে দেড় লাখ টনের বেশি চুরি করা গম গ্রহণ না করার আহ্বান জানায়। এসব গম রাশিয়ার কাভকাজ বন্দর থেকে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
ইউক্রেন হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ভবিষ্যতে শুধু আমদানিকারক নয়, বরং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন।
বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা চুরি করা গম আমদানি করে না এবং দখলকৃত এলাকা থেকে গম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ইইউ বলেছে, প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট জাহাজ ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে।
 
                 
                                                                                                             
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                