চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ পদে জয় লাভ করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা। ১৯৮১ সালের পর এটি প্রথমবারের মতো যে শিবিরের সক্রিয় অংশীদাররা মূল নেতৃত্ব লাভ করল।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোট ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪১৫ জন প্রার্থী। ২৪টি হলে ও হোস্টেল সংসদসহ প্রায় সকল পদে ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থীরা সফল হন।
-
ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি / সহসভাপতি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. ইব্রাহিম হোসেন রনি, ৭,৯৮৩ ভোট পেয়ে।
-
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে বিজয়ী হয়েছেন সাঈদ বিন হাবিব, ৮,০৩১ ভোটে।
-
একমাত্র সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক, ৭,০১৪ ভোটে।
-
এছাড়া ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন তামান্না মাহবুব।
নির্বাচন কমিশন প্রধান অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। তবে ফল ঘোষণা আগে কিছু উত্তেজনা ও অভিযোগের সৃষ্টি হয় — বিশেষ করে ভোট কারচুপির সন্দেহে রাত একটার পর দুই হল অবরুদ্ধ ও ক্যাম্পাসে বিজিবি মোতায়েনের ঘটনা ঘটে।
চাকসুর ইতিহাসে ছাত্রশিবিরের শেষ বড় জয় হয়েছিল ১৯৮১ সালে, যখন ভিপি ও জিএস পদে নির্বাচিত হন জসিম উদ্দিন সরকার ও আবদুল গাফফার। প্রায় ৪৪ বছরের বিরতির পর সেই ঐতিহ্য পুনরায় ফিরে পেল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।