প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর জানুয়ারিতে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডোজ) বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের প্রধান পদে ইলন মাস্ককে নিয়োগ দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশেষে সেই পদ থেকে অব্যাহতি নিলেন এই ধনকুবের। খবর এএফপির।
Advertisement
বুধবার সামাজিকমাধ্যম এক্সে তিনি লেখেন, বিশেষ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আমার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সরকারি অর্থ অপচয় বন্ধ করতে আমাকে এ সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই। ডোজ ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে কারণ এটি সরকারের কাজের একটি অংশ হয়ে উঠেছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের বাজেট বিলের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ার পরই নিজের পদ ছেড়েছেন মাস্ক। বুধবারই সরকারি পদ থেকে সরে যাবেন মাস্ক।
মাস্কের সরে যাওয়া নিয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হলেও ট্রাম্পের সঙ্গে তার কোনো কথা হয়নি বলেই জানা গেছে।
বিশেষ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ইলন মাস্কের সরকারি দায়িত্বের মেয়াদ ছিল ১৩০ দিন। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরে যাচ্ছেন প্রযুক্তি খাতের এ শীর্ষ ব্যক্তিত্ব।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডোজ ফেডারেল সরকারের ২৩ লাখ কর্মী থেকে ১২ শতাংশ বা প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার জনকে ছাঁটাই করতে পেরেছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মঙ্গলবার ইলন মাস্ক কংগ্রেসে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের কর ও বাজেট-সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের বিষয়গুলো নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন।
এ বিষয়ে সিবিএস নিউজকে ইলন মাস্ক বলেন, ব্যয়বহুল বিলটি দেখে আমি হতাশ হয়েছি। সত্যি বলতে, এটা বাজেট ঘাটতি কমানোর বদলে বরং আরও বাড়াবে। সেই সঙ্গে ডোজের কাজের অবমূল্যায়ন করবে।
হোয়াইট হাউসে থাকার সময় ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন মাস্ক। বিশেষ করে ট্রাম্পের প্রধান বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারোকে তিনি একবার ‘মূর্খ’ বলেছিলেন। ট্রাম্প বিশ্বের নানা দেশের ওপর ব্যাপক হারে বাণিজ্য শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর মাস্ক নাভারোকে নিয়ে আক্রমণাত্মক হন।
মাস্ক প্রকাশ্যে বলেছেন, তিনি মুক্ত বাণিজ্য এবং কম শুল্ক ব্যবস্থার পাশাপাশি স্থিতিশীল শুল্ক কাঠামোর পক্ষে।
গত এপ্রিলে মাস্ক আশা প্রকাশ করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে এক সময় ‘শূন্য শুল্কের’ বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে উঠবে। তবে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কোনো বাণিজ্য চুক্তি না হলে আমদানি করা ইউরোপীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানো হবে।
ইলন মাস্কের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে শুধু বিতর্ক নয়, প্রতিবাদও হয়েছে। বেশ কিছু বিনিয়োগকারী ইলন মাস্কের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের উপদেষ্টার দায়িত্ব ছেড়ে দিতে এবং টেসলার ব্যবস্থাপনায় আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
 
                 
                                                                                                                     
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                