দৈনিক সহযাত্রী

শিরোনাম

কল্যাণ পার্টি থেকে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে বহিষ্কার

সহযাত্রী ডেস্ক: সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে ‘বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি’র চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিষ্কার করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন পারভেজকে নতুন কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আবু হানিফকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা হয়েছে। ৪১ সদস্যবিশিষ্ট কল্যাণ পার্টির নতুন কমিটিতে ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান, একজন অতিরিক্ত মহাসচিব, ৮ জন যুগ্ম মহাসচিব, ৬ জন সহকারী মহাসচিব ও ১৯ জন সদস্য করা হয়েছে। সৈয়দ ইবরাহিমকে বহিষ্কার করে সদ্য ঘোষিত কমিটির নেতারা বলেন কল্যাণ পার্টি বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে রাজপথে আগেও ছিলো, বর্তমানেও আছে এমনকি ভবিষ্যতেও থাকবে।

রবিবার (১০ ডিসেম্বর) দলটির নতুন কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন পারভেজ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নির্বাহী কমিটির অধিকাংশের মতামতকে তোয়াক্কা না করে অফিস নোটিশ ব্যতীত ১৩১ জনের নির্বাহী কমিটির গোপন বৈঠকে বাংলাদেশের মানুষের চিন্তা চেতনার বিপরীতে দলীয় আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ ও অবৈধ নির্বাচনকে বৈধতা দিতে কথিত যুক্তফ্রন্ট নামীয় নির্বাচনি জোটে যোগদান করায় নির্বাহী কমিটির দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা-২০, উপধারা-ঙ-এর অনুচ্ছেদ ১ অনুযায়ী একাধিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, বীর প্রতীককে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।’

অধিকাংশ সদস্যের সম্মতিক্রমে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন পারভেজকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন পারভেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করতে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের সিদ্ধান্ত হয়। পার্টির নিবেদিতপ্রাণ নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।

যুক্তফ্রন্ট গঠন করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে পার্টির সাবেক চেয়ারম্যানকে প্ররোচিত করায় পার্টির সাবেক মহাসচিব আব্দুল আউয়াল মামুন এবং সাবেক অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিবকে পার্টি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয় বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

বহিষ্কারের বিষয়ে সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম সাংবাদিকদের বলেন, গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে পদক্ষেপ নিলে ভালো। তারা ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে থাকলে কোনও সমস্যা নাই। তবে কল্যাণ পার্টি নামটি ব্যবহারের আগে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জারিকৃত বিধিমালা সম্পর্কে যেন তারা সবাই অবগত থাকেন।

কল্যাণ পার্টির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন পারভেজ বলেন, ‘আমরা দলীয় বিধিমালা অনুসরণ করে সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমকে বহিষ্কার করেছি। তিনি দলের অধিকাংশ সদস্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা ছাড়াই আমাদের এতদিনের আন্দোলন সংগ্রামকে কালিমালিপ্ত করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা অধিকাংশ সদস্য মানতে পারেননি। আমরা তার মতো জাতীয় বেইমান হতে চাই না। তাই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে চলমান আন্দোলন বেগবান করতে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে থাকবো।’

এদিকে কল্যাণ পার্টির সদস্যদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘জেনারেল ইবরাহিম জাতির সঙ্গে বেইমানি করেছে। কিন্তু তার দলের অন্য সদস্যরা বিবেকবান, দেশপ্রেমিক। তাদের এই সিদ্ধান্তকে আমরা ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter