সহযাত্রী ডেস্ক: তাপমাত্রা বৃদ্ধির পর ফের সারা দেশেই জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসে তীব্র হচ্ছে শীতের প্রকোপ। এরই মধ্যে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিদিনই নামছে তাপমাত্রার পারদ। আর কুয়াশার প্রভাবে ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর এবং রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, পাবনা, নাটোরসহ প্রায় সব জেলাতেই জেঁকে বসেছে শীত। হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকছে ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। শীতে কাবু হয়ে পড়েছে শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ।
পঞ্চগড়ে শৈতপ্রবাহের কারণে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। আগুন জালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। বেশি দুর্ভোগে পড়েছে দিনমজুর, কৃষি শ্রমিক, পাথর শ্রমিক, রিকশা ভ্যান চালকসহ নিম্ন আয়ের মানুষ।
রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, পাবনা, নাটোরে পারদ নেমেছে ১০ ডিগ্রির নিচে। সারা দিনেও দেখা মিলছে না সূর্যের। এছাড়া ঘন কুয়াশায় দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনকে।
দক্ষিণাঞ্চলের যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়াতে শীতের প্রকোপে অসুস্থ হচ্ছে নানা বয়সী মানুষ। হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
স্থানীয়রা জানান, তাপমাত্রা কমার চেয়েও বেশি অসুবিধা হচ্ছে হিমশীতল বাতাসে। এর পাশাপাশি ঘন কুয়াশা থাকায় বাতাসে তা কাঁটার মতো বিঁধতে থাকে। ঘরে ঘরে লেপ-কাঁথা নামানো হয়েছে। তবে গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষজন।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এছাড়া রয়েছে শৈত্যপ্রবাহের আভাস।
এদিকে, সিলেট বিভাগের তাপমাত্রা নেমেছে ৯ডিগ্রির নিচে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগেও বেড়েছে শীতের প্রকোপ।