সহযাত্রী ডেস্ক: ৩১ ডিসেম্বর (সোমবার) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল ৮.৩০ মিনিটে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন’২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সদ্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৮ আগস্ট (৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ) শাহাদাৎ বরণকারী রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ আলী রায়হানের সম্মানিত পিতা মো. মুসলেহ উদ্দিন। উদ্বোধন ঘোষণাকালীন জুলাই বিপ্লবের শহীদ আবু সাঈদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, ওয়াসিম, উসমানসহ আরো কিছু শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী আমলের অত্যাচারে আহত ও গুম হওয়া ভাইদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
সদস্য সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মুহতারাম আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা.সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ তাহের, নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোওয়ার, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের (রেজা কিবরিয়া) ফারুক হাসান, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতিবৃন্দ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
বিশিষ্টজনদের মধ্যে যারা উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি কাজী ইবরাহীম, বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার প্রাক্তন অধ্যক্ষ মাওলানা যায়নুল আবেদীন, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শামছুল আলম, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইসলামী ব্যক্তিত্ব মাওলানা সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন জাফরী প্রমুখ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যারা উপস্থিত ছিলেন- শহীদ মু. আলী রায়হানের পিতা মু. মোসলেহ উদ্দিন, শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর পিতা মু. জাকির হোসেন, শহীদ ওয়াসিম আকরামের পিতা মু শফিউল আলম, শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর পিতা ডাঃ আব্দুর রহমান, শহীদ শাকিল পারেভেজের পিতা মু. বেলায়েত হোসেন, শহীদ সামিউ আমান নূরের পিতা মু. আমান মিয়া।
শহীদ নেতৃবৃন্দের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যারা উপস্থিত ছিলেন- শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর সন্তান ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন, শহীদ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের সন্তান আলী আহমেদ মাবরুর, শহীদ আবু রোহানীর পিতা মু. আবু বক্কর।
পঙ্গুত্ববরণকারী সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আব্দুল করিম (চট্টগ্রাম জেলা পশ্চিম), আলমগীর হোসেন (বগুড়া জেলা উত্তর) আবু যার গিফারী (জয়পুরহাট জেলা) ওমর আলী (জয়পুরহাট জেলা), ইসরাফিল হোসাইন (যশোর জেলা পশ্চিম) এবং রুহুল আমিন (যশোর জেলা পশ্চিম)।
গুমকৃত সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মোকাদ্দেস আলীর পিতা মু. হা. জাকির হোসেনের, মু. জয়নাল আবেদীনের বড় ভাই, রেজোওয়ান হোসাইনের পিতা এবং রেজোওয়ান হোসাইনের ভাতিজা।
আন্তর্জাতিক ইসলামী সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ (সেক্রেটারি জেনারেল, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ফেডারেশন অব স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনস, ইফসু), ড. আবদুল্লাহ আহমেদ (সভাপতি, হিকমত ইয়ুথ, মিশর), আহমাদ ফাহমি মোহাম্মদ সামসুদ্দিন (প্রেসিডেন্ট, আঙ্গাকাতান বেলিয়া ইসলাম মালয়েশিয়া, আবিম), দজুল আইমান (প্রেসিডেন্ট, পিকেপিআইএম, মালয়েশিয়া), ড. আশরাফ আওয়াদ (প্রেসিডেন্ট, ইসলামিক ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ ফোরাম) এবং এমরুল্লাহ দেমির (ভাইস-প্রেসিডেন্ট, আনাতোলিয়ান ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন, এজিডি, তুরস্ক)।
বন্ধুপ্রতিম ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-
আব্দুর রহমান ফারুকী (কেন্দ্রীয় সভাপতি, জাগপা ছাত্রলীগ), মো: রায়হান আলী, (কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র মজলিস, কাজী ফয়েজ আহমেদ (কেন্দ্রীয় সভাপতি, জাতীয় ছাত্র সমাজ; কাজী ফয়েজ), মোশাররফ হোসেন (কেন্দ্রীয় সভাপতি, ভাষানী ছাত্র পরিষদ), বিন ইয়ামিন মোল্লা (কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ), মোঃ সানজিত রহমান শুভ (কেন্দ্রীয় সভাপতি, ছাত্র ফোরাম; মন্টূ), মোল্যা রহমাতুল্লাহ্ (আহবায়ক, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ; রেজা কিবরিয়া), সাইফুল ইসলাম (সহ-সভাপতি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন), কামরুল ইসলাম (সেক্রেটারি, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল; এলডিপি), নিয়ামুল ইসলাম সিয়াম (সেক্রেটারি, বাংলাদেশ ছাত্র মিশন; লায়ন্স ফারুক), খেলাফত ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।