দৈনিক সহযাত্রী

শিরোনাম

ফারজানা মুন্নির ভাইরাল অডিও রেকর্ড নিয়ে মুখ খুললেন বুবলি

ওমরাহ ভিসা

সমাজ সংস্কৃতি ডেস্ক: কদিন আগেই গানবাংলা টেলিভিশনের চেয়ারপারসন ফারজানা মুন্নির ফেসবুক থেকে তার স্বামী সংগীতশিল্পী ও গানবাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপস ও চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়। এরপরই তাদের প্রেমের খবরে সরগরম হয় সোশ্যাল মিডিয়া।

পরে অবশ্য ফারজানা মুন্নির তরফ থেকে জানানো হয়, ফেসবুক আইডি হ্যাকারদের কবলে পড়েছিল। একইভাবে বুবলীর পক্ষ থেকেও তাই জানানো হয়।

এই বিষয়টি অনেকটা ধাপাচাপা পড়তেই শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাত থেকে ফেসবুকের কয়েকটি পেজে বুবলী-তাপসের প্রেম নিয়ে ফারজানা মুন্নি ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের কথপোকথনের একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে।

যা নজর এড়ায়নি বুবলীরও। এ নিয়ে শনিবার (১১ নভেম্বর) সাংবাদিকদের

বুবলী বলেন, ‘আমাকে নিয়ে যদি কারো এতো সমস্যা থাকে, তাহলে অফিসিয়ালি কথা বলুক, প্রমাণসহ কথা বলুক, তখন আমিও আমার কাজের সমস্ত প্রমাণসহ ডেট নিয়ে অফিসিয়ালি কথা বলবো সাংবাদিক সম্মেলন করে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো। এতো লুকোচুরি করছে কেনো?

‘একবার জানানো হচ্ছে আইডি হ্যাক করা হয়েছে, আরেকবার সেই আইডি স্ট্যাটাস ডিলিট করা হয়েছে, আবার কীসের কী লিক নামক অডিও ফাঁস বলা হচ্ছে, সেই অডিও আবার একজনের কথা দিয়ে এক তরফা এডিট করা। অপর পাশ কারা কী কথা বলছে কিংবা কারও দ্বারা ম্যানিপুলেট করা কিনা তাও বোঝা যাচ্ছেনা।’

বুবলী আরও বলেন, ‘কোনো কনভারসেশনে শুধু একজনের কথা যেখানে রাখা হয়, সেখানে কী উদ্দেশ্য থাকে? আপনারাই বলুন। এমনকি অডিওতে মিম, পরী, মাহি কারও সঙ্গে কথা হলো না, শুধু অপু বিশ্বাসের সঙ্গেই কথা হলো, ব্যাপারগুলো এতো পরিকল্পিত যে আমার বুঝতে বাকি নেই কী নোংরামো হচ্ছে।

‘আমার সন্তান শেহজাদ কে সামনে আনার পর থেকে আমার সঙ্গে যা যা হচ্ছে, সব আর্কাইভে আপনাদের দেখার অনুরোধ থাকলো। আমি শুধু অফিসিয়াল স্টেটমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি, তখন এই সমস্ত কিছুর উত্তর দিবো প্রমাণসহ। যারা এসব মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করে প্রত্যেকবার তাদের প্রত্যেককে আমি চিহ্নিত করছি।’

গত ৪ নভেম্বর মধ্যরাতে ফারজানা মুন্নির ফেসবুক থেকে দেয়া সেই স্ট্যাটাসে বলা হয়, ‘তাপস ও বুবলী মাঝে সম্পর্ক চলছে। বুবলী আমার পরিবার ধ্বংস করছে, যেভাবে করেছে অপু বিশ্বাসের জীবন। শাকিব খানকে ব্ল্যাকমেইল করে প্রেগন্যান্ট হয়েছেন, এখন তার টার্গেট তাপস। যদি আমার কিছু হয়, এর জন্য দায়ী থাকবেন তাপস এবং বুবলী।’

এদিকে শুক্রবার রাতে ফাঁস হওয়া অডিওতে ফারজানা মুন্নি জানান, ফেসবুক আইডি হ্যাকড নয়, স্ট্যাটাসটি তিনিই দিয়েছিলেন। যে রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাসটি দেন, তখন তাপসের সঙ্গে গানবাংলা টেলিভিশনের অফিসে একান্তে সময় কাটাচ্ছিলেন বুবলী।

ফারজানা মুন্নি বলেন, ‘আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার পর তাপসের সঙ্গে আমার পরিবারের সবাই বসেছিলেন। দেখো অপু, আমি তো এখনও সংসার করি। তাপস তো এখনও আমার জামাই। তারপর যখন আমাকে বলল, এটা দাও (ফেসবুক আইডি হ্যাকের স্ট্যাটাস), তখন আমি এটা দিলাম। আমার কোনো কিছু হ্যাক হয় নাই, শুধু স্ট্যাটাসটা হ্যাক হইছে না, তাই না?’

তিনি বলেন, ‘এই তাপসকে আমি চিনতেছি না। তাপস যদি এই মেয়েকে (বুবলী) বলে এখন সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবা, সে কথামতো দাঁড়িয়ে থাকবে। তুমি গানবাংলার সিকিউরিটি গার্ডকে জিজ্ঞেস করো; জানতে পারবে ও (বুবলী) কখন ঢোকে, কখন বের হয়! তুমি জানো না কী হচ্ছে দুজনের! আমি তোমাকে (অপু বিশ্বাস) বোঝাতে পারব না।

‘না পেরে শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাপসকে ভিডিও কল করে বলছি, বুবলীকে দাও। আমি জানি ওখানে বুবলী আছে। বাথরুমে লুকিয়ে ছিল সে (বুবলী)। সে বাথরুম থেকে বের হলো। তারপর আমি বললাম, বুবলী তোমার লজ্জা লাগে না? তুমি একটা মেয়ে না? তোমার খারাপ লাগে না? ও (বুবলী) আমার কথা শুনে হাসল। ওই হাসিটা দেখে আমি সহ্য করতে পারিনি। তখনই তো আমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি।’

বুবলী দিন-রাত গানবাংলা টেলিভিশনের অফিসে পড়ে থাকেন। চ্যানেলটির নিজস্ব গাড়িতে তাকে আনা-নেয়া করা হয় বলেও জানান মুন্নি।

এ নিয়ে মুন্নি বলেন, ‘বুবলী কোনোদিন বাসায় থাকে না। কোনো সাংবাদিক দিয়ে ওর বাসার দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করাও যে, ও কয়টার সময় বের হয়, আর কয়টার সময় বাসায় আসে! গানবাংলার গাড়ি কয়টায় ঢোকে, কয়টায় নামিয়ে দিয়ে যায়! আমি হা হয়ে থাকি। কী হচ্ছে এসব! একটা মেয়ে সারাটাক্ষণ তাপসের সঙ্গে থাকে। ওর মতো ভালো মেয়ে নাকি তাপস কখনও দেখেনি।’

তিনি বলেন, ‘বুবলীকে গানবাংলার গাড়ি নিয়ে আসে। আবার দিয়ে আসে। ও তাপসকে বোঝাতে চাচ্ছে, শাকিব আর তার পরিবার তাদের মিলিয়ে দিতে চাচ্ছে, কিন্তু সে সেটা চাচ্ছে না। এখন শুধু তাপসের বুদ্ধিতে চলবে। দেখো না চুপ করে আছে। কোনো স্টেটমেন্ট দিচ্ছে না।’

১৩ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের ফোনালাপটি কয়েকটি ফেসবুক পেজে দেখা গেছে। তবে কথোপকথনের অপু বিশ্বাসের কথাগুলো কেটে দেয়া হয়েছে। শুধু ফারজানা মুন্নির কণ্ঠ শোনা গেছে। তবে তিনি যে অপু বিশ্বাসের সঙ্গেই কথা বলছিলেন, সেটা বোঝা যায় কথার মাঝখানে তার নাম ধরে ডাকা থেকে।

তবে এ নিয়ে জানতে শনিবার সকাল থেকে অপু বিশ্বাসের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। এদিকে ভাইরাল এই কল-রেকর্ডের বিষয়ে জানতে গানবাংলা টিভির জনসংযোগ কর্মকর্তা রুদ্র হকের ফোনে কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter