দৈনিক সহযাত্রী

শিরোনাম

অবশেষে থামল মরক্কোর ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ যাত্রা, টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে ফ্রান্স

ওমরাহ ভিসা

সহযাত্রী ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর আগে মরক্কোর বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা ছিল ০.০০১ শতাংশ। তবে বিশ্বকাপ শুরু হতেই গাণিতিক সেসব সমীকরণকে বুড়ো আঙুল দেখাতে শুরু করে আফিকান লায়ন্সরা। গ্রুপ পর্বে বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়ার বাধা টপকে শেষ ষোলোতে। এরপর স্পেনকে শেষ ষোলোতে আর পর্তুগালকে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে মরক্কো। আর তাতেই গড়া হয়ে যায় ইতিহাস। ০.০০১ শতাংশ থেকে বিশ্বকাপে থেকে মাত্র দুই ধাপ দূরে থেকে বিদায় মরক্কোর। ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলের ব্যবধানে বিদায়ে থামল মরক্কোর ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ যাত্রা। ফলে আবারো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। টানা দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো ফ্রান্স।

২০১৮ বিশ্বকাপ যেখান থেকে শুরু করেছিল সেখান থেকেই যেন এই বিশ্বকাপ শুরু করে এমবাপেরা৷ দুর্দান্ত খেলেই আবারো বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল ফ্রান্স৷ অথচ পুরো ম্যাচেই দাপট দেখিয়ে খেলেছে মরক্কো।

ফেবারিটের তকমা লাগিয়ে বিশ্বকাপে আসা ফ্রান্স শুরুটাও করে স্বপ্নের মত। থিও হার্নান্দেজের বা পায়ের দারুণশটে ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায় ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ফ্রান্স। বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত প্রতিপক্ষ ফুটবলারের কাছ থেকে গোল হজম করল মরক্কো।

এক গোল খেলেও দারুণভাবে খেলতে থাকে মরক্কো। ১১ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থ্বকে উনাহির দূরপাল্লার শট বা পাশে ঝাপিয়ে পড়ে রুখে দেন ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক হুগো লরিস।

১৮ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পায় মরক্কো। বৌফালের পাস থেকে ডি বক্সে বল পেলেও বা পায়ের দুর্বল শটে গোল করতে ব্যর্থ হন জিয়েচ৷

এর ঠিক ১ মিনিট পরে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান্সও। ডি বক্সের ভেতর গোলরক্ষককে একা পেয়ে বা পায়ে শট নেন জিরুড। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বারে লেগে বল চলে যায় বাইরে।

৩৬ মিনিটে দারুণ এক কাউন্টার এটাকে মরিক্কোর রক্ষণভাগে ভয় ধরিয়ে দেয় এমবাপে ও জিরুড। এমবাপের পেসের কাছে পরাস্ত হন মরক্কোর ডিফেন্ডার।

ফলে এমবাপের দুর্বল শট ক্লিয়ার করেন মরক্কোর ডিফেন্ডার। কিন্তু ফোফানার পাস থেকে দারুণ ভাবে একা বল পেয়ে গোলবারের বাইরে শট নেন জিরুড।

৪১ নিনিটে গ্রিজম্যানের কর্নার থেকে ভারানের ডান পায়ের শট আবারো লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাইরে চলে যায়। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পায় মরক্কো। কিন্তু এল ইয়ামিকের ওভার হেড কিক গোলবারে লেগে প্রতিহত হয়, ফলে গোলবঞ্চিত হয় মরক্কো।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আরো আক্রমণাত্মকভাবে খেলতে থাকে মরক্কো। ৫৫ নিনিটে ফ্রেঞ্চ রক্ষণভাগে ভয় ধরিয়ে দেন মরক্কোর ফুটবলাররা। বৌফাল, এল নাসিরের দুই প্রচেষ্টা রুখে দেন ভারান ও থিও হার্নান্দেজ।

পুরো ম্যাচে দারুণভাবে বল দখলে নিয়ে খেলতে থাকে মরক্কো। কিন্তু আক্রমণভাগে গিয়েই যেন খেই হারিয়ে ফেলছিল তাদের ফুটবলাররা।

মরক্কোর ভুলের খেসারত দিতে হয় ৮০ মিনিটে। দারুণ এক কাউন্টার এটাক থেকে এমবাপের একক নৈপুণ্যে ডিবক্সের ভেতর শট নিলে সেট প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে যায় কোলো মুয়ানির কাছে৷ এমন সুযোগ আর তিনি মিস করেননি৷ বদলি হিসেবে নামার ২ মিনিটের ভেতরেই ফ্রান্সের জার্সি গায়ে নিজের প্রথম গোলটি করেন তিনি।

দুই গোলে পিছিয়ে থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি মরক্কো। ৯২ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে মরক্কোর উনাহির শট চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে। শেষ দিকে আরো কয়েকবার ফ্রান্স আক্রমণভাগে বল নিয়ে ঢুকলেও ফিনিশিংটাই করতে পারেনি ফ্রান্স। ফলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হল আফ্রিকান প্রতিনিধি মরক্কোকে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter