সহযাত্রী অনলাইন ডেস্ক: প্রতিদিন দু-তিন কিলো গালি খান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গালিতে বিচলিত না হয়ে, এ গালিতেই বরং পুষ্টি খুঁজে পান তিনি। দক্ষিণ ভারত সফরের দ্বিতীয় দিন (কর্নাটক, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ) শনিবার তেলঙ্গানায় দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন মোদি।
তিনি বলেন, ‘বিরোধীদের গালিতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। আপত্তি নেই দল বিজিপিকে গালি দিলেও। এতে ক্লান্ত হই না আমি। প্রতিদিন দু-তিন কিলো গালি খাই। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ যে এসব আমার ভেতরে গিয়ে পুষ্টিতে রূপান্তরিত হয়।’ এ সময় তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওকে (কেসিআর) উদ্দেশ্য করে হুঁশিয়ারি দেন মোদি। নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘বিজিপি কিংবা আমাকে অসম্মান করলেও তেলঙ্গানার মানুষকে অসম্মান করবেন না। করলে চড়া মূল্য দিতে হবে।’ তার এ মন্তব্যে জন্ম নেয় সমালোচনাও।
তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (টিআরএস) নেতা ওয়াই সতীশ রেড্ডি টুইটারে লেখেন, ‘ভারতের কোটি কোটি মানুষ অপুষ্টির শিকার। প্রধানমন্ত্রী সেখান পুষ্টির উৎস খুঁজে পেয়েছেন।’
মোদি ক্ষমতাসীন টিআরএসের দিকেও দৃষ্টিপাত করেছিলেন বক্তব্যে। বলেছেন, তারা জনগণের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করছে। এসময় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন মোদি। সঙ্গে কে মন্ত্রী হবেন তার সিদ্ধান্ত নেয় কুসংস্কার বিশ্বাসের মাধ্যমে। এসব আধুনিক সমাজবিরোধী চিন্তাভাবনাকেই প্রশ্রয় দেয়। বিজ্ঞানের যুগে একটি আধুনিক সমাজকে কুসংস্কারচ্ছন্ন করে রাখা হচ্ছে যা খুবই দুঃখজনক। তেলঙ্গানাকে সব ধরনের কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’ এ রাজ্যের সর্বত্র ‘পদ্মফুল ফুটবে’ বলে আশ্বাস দেন মোদি।
বিজিপি কর্মীদের ও বিচলিত না হওয়ার নির্দেশ দেন। বলেন, ‘অশালীন মন্তব্যে রাগ হওয়ার কিছু নেই, সেগুলো উপভোগ করুন। চা পান করুন। ঘুমিয়ে পড়ুন। পরদিন দেখবেন সব অদৃশ্য হয়ে গেছে। জীবনে নতুন ফুলের আভাস পাবেন।’ কেন্দ্রের তিন প্রকল্পের ভূমিকা সম্পর্কে বলেন, ‘জন ধন, আধার ও মোবাইল এই ত্রিশক্তিকে সামনে রেখে আমরা বহু ভুয়ো উপভোক্তার নাম বাদ দিতে সক্ষম হয়েছি।
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভোটকেন্দ্র হিমাচলে : ভারতের হিমাচল প্রদেশেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভোটকেন্দ্রটি। ১৫ হাজার ২৫৬ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত তাশিগাং-এর এ ভোটকেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা মাত্র ৫২। প্রবীণ নাগরিক ও প্রতিবন্ধী ভোটারদের ভোটদান সহজ করতে এটিকে মডেল ভোটকেন্দ্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার প্রদেশটিতে অনুষ্ঠিত হয় বিধানসভার ৬৮ আসনের নির্বাচন। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের ছেলে বিক্রমাদিত্য সিংসহ ৪১২ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাজ্যজুড়ে ভোটদানে অংশ নেওয়ার কথা ৫৫ লাখেরও বেশি ভোটার। প্রত্যন্ত অঞ্চলের তিনটি অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রসহ সাত হাজার ৮৮৪টি ভোটকেন্দ্রে চলে ভোটগ্রহণ। ভোট গণনা হবে আট ডিসেম্বর।
সুত্র: এনডিটিভি।