করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে আগাম সতর্কতা আর পরিচ্ছন্নতাই অন্যতম উপায়। আর সে জন্যই বিশেষজ্ঞরা বার বার ভাল করে সাবান দিয়ে হাত, মুখ ধুতে বলছেন। বাইরে বেরলে নাক, মুখ মাস্কে ঢাকতে বলছেন। যেখানে হাতের কাছে পানি নেই সে ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ভাল করে জীবাণুমুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই জন্যই সাম্প্রতিককালে এক লাফে অনেকটাই বেড়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার। করোনার কারণে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এখনকার নিত্য সাথী। অনেকেই ব্যবহার করেন। তবে আসলটা চিনে ব্যবহার না করলে সবটাই মাটি। কথা হচ্ছে কী করে চিনবেন সবচেয়ে কার্যকর ও ‘খাঁটি’ হ্যান্ড স্যানিটাইজার কোনটি? যে কোনও হ্যান্ড স্যানিটাইজারে কাজ হবে না। করোনা থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে হবে এমন সব হ্যান্ড স্যানিটাইজার যেগুলোতে অ্যালকোহলের মাত্রা বেশি থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সব হ্যান্ড স্যানিটাইজারে ৬০ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত অ্যালকোহল থাকে শুধুমাত্র সেগুলোই এই পরিস্থিতিতে আমাদের হাত জীবাণুমুক্ত করতে সক্ষম। নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজারে ছেয়ে গিয়েছে বাজার। সবকটির গায়েই ৬০-৭০ শতাংশের বেশি অ্যালকোহলের উপস্থিতির দাবি করা হয়েছে। তাহলে কীভাবে চিনবেন কোন হ্যান্ড স্যানিটাইজার সবচেয়ে কার্যকর, নিরাপদ বা ‘খাঁটি’! তিনটি ঘরোয়া উপায়-১) একটি পাত্রে সামান্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে সেটি শুকানোর চেষ্টা করুন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শুকিয়ে গেলে ওই হ্যান্ড স্যানিটাইজার খাঁটি। নকল বা অ্যালকোহলের মাত্রা কম হলে সেটি শুকাতে সময় লাগবে বেশি। ২) টিস্যু পেপারে কলমের দাগ দিয়ে ওই দাগের উপর কয়েক ফোঁটা স্যানিটাইজার ঢালুন। পেনের কালি দ্রুত টিস্যু পেপারে ছড়িয়ে গেলে বুঝতে হবে ওই স্যানিটাইজারটি নকল বা এতে অ্যালকোহলের মাত্রা অনেক কম। টিস্যু পেপারে কালি ছড়িয়ে না পড়ে সেটি মুহূর্তেই শুকিয়ে গেলে বুঝতে হবে, সেটি অত্যন্ত কার্যকর! ৩) একটি ছোট পাত্রে সামান্য ময়দা নিয়ে তাতে কিছুটা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে মাখতে শুরু করুন। ময়দা দলা পাকিয়ে গেলে বুঝতে হবে ওই স্যানিটাইজারটি নকল বা এতে অ্যালকোহলের মাত্রা অনেক কম। খাঁটি স্যানিটাইজারের ক্ষেত্রে এমনটা হবে না। আসলটা পরীক্ষা করে তবে পকেটে ভরুন আর প্রয়োজনের মুহূর্তে ব্যবহার করুন। তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট।