দৈনিক সহযাত্রী

শিরোনাম

জীবন দিবো, তবু দেশের এক ইঞ্চি মাটিও কাউকে দিবো না: আমীরে জামায়াত

হযাত্রী ডেস্ক: জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে ইস্পাত কঠিন ঐক্য চাইলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, দেশের আকাশে কালো মেঘ জমেছে। দেশের আাকাশে কালো শকুন দেখা যাচ্ছে। তাদেরকে কোনোরকম সুযোগ দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশে আওয়াজ উঠেছে জীবন দিবো- তবু দেশের এক ইঞ্চি মাটিও কাউকে দিবো না। তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, আপনারা কী প্রস্তুত?  লাখো কন্ঠে জবাব আসে জি, আমরা প্রস্তুত। তিনি বলেন, আমরা চাই, জাতীয় স্বার্থে সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে ইস্পাত কঠিন ঐক্য।

আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) সাতক্ষীরা জেলার ঐতিহাসিক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা সদরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কোরআনের কথা বলতে গিয়ে, আল্লাহর দ্বীনের কথা বলতে গিয়ে, সত্য কথা বলতে গিয়ে সাতক্ষীরা জেলার মতো বাংলাদেশের আর কোনো জেলা এতো জীবন এবং রক্ত উপহার দেয়নি। এজন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কাছে সাতক্ষীরার মর্যাদা অনন্য উচ্চতায়। আল্লাহ যেন এই জেলার মর্যাদা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি করে দেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ আল্লাহ তায়ালার বড় মেহেরবানি। দুনিয়ার খুব কম জায়গাতেই এমন দেশ রয়েছে। আমরা এমন একটি দেশ পেয়েছি  যার  মাটির উপর অফুরন্ত সম্পদ। মাটির গর্ভে অফুরন্ত সম্পদ,  সমুদ্রেও অফুরন্ত সম্পদ। কিন্তু আমাদের সম্পদগুলো জনগণের উপকারে আসছে না। যারা জনগণের কর্তা হয়ে ক্ষমতায় এসে বিভিন্ন সময় দেশ শাসন করেছেন; তারা জনগণের সম্পদ সুকৌশলে চুরি করে লুন্ঠন করে পকেটে ঢুকিয়েছেন। এজন্য বাংলাদেশের জনগণ তাদের হিস্যা পায়নি।

আমীরে জামায়াত উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালে শহীদ পরিবারের সাথে দেখা করতে এসেছিলাম। সকাল ৯/১০ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আমি দেখেছি এই জেলার রাস্তাঘাট একদমই ভাঙাচুরা। মোটর সাইকেলে করে সারা জেলা ঘুরার চেষ্টা করেছি। তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, শাসক দলের কথায় উন্নয়নের জোয়ারে তো দেশ ভাসছে! জোয়ারের সামান্য ছিটেফোটা কী এখানে একটু আসে না? তারা জানায় যে, না আসে না। তারা জানায় বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী সাতক্ষীরাকে বাংলাদেশের অংশ মনে করে না। আপনাদের ওপর তারা জুলুম করেছে। তারা জনগণের  অধিকার দেয়নি। সাতক্ষীরার ওপর জুলুম করেছে। খুন-গুম করেছে। ইজ্জতের ওপর হাত দিয়েছে। সম্পদ লুন্ঠন করেছে। মানুষকে তারা দাসে পরিণত করেছিল। সবচেয়ে খারাপ করেছে সাতক্ষীরায়। শুধু দ্বীনের পক্ষ নেওয়ায় যদি এই অবস্থা হয় তাহলে, হে আল্লাহ দুনিয়া এবং আখেরাতে এই জেলার মর্যাদা বাড়িয়ে দিন।

ডা. শফিকুর রহমান ওয়াদা করে বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের মানুষের কাছে ওয়াদাবদ্ধ। আমরা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। সুষম উন্নয়ন দিতে চাই। কেউ চাইলেও. না চাইলেও  তার অধিকার পাবে। লক্ষ যুবক বেকার থাকবে না। শিক্ষা সমাপনীর সাথে সাথে কাজ ধরিয়ে দেওয়া হবে। নৈতিক এবং জাগতিক শিক্ষার সমন্বয় হবে।

তিনি বলেন, আমরা এমন একটি দেশ চাই, যেখানে  মা-বোনেরা ঘরে এবং বাইরে নিরাপদে থাকবে। তারা কর্মস্থল এবং রাস্তাঘাটে সুরক্ষা পাবেন. নিরাপদে থাকবেন। দক্ষতা দিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন।

তিনি ইতিহাস টেনে বলেন, নবী (সা.) যুদ্ধক্ষেত্রেও নারীদের যুক্ত করেছেন। বিশেষ করে বদরের যুদ্ধের কঠিন দিনে তিনি নারীকে যুক্ত করেছেন। যখন কাফেররা তাঁকে খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল হত্যা করার জন্য। যখন পুরুষযোদ্ধারা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। তখন একজন নারী আল্লাহর রাসুল (সা) কে ঘুরে ঘুরে সুরক্ষা দিয়েছিলেন। তার শরীরে ৩৭টি তীর ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। রাসুল সা. বলেছেন, ‘যখনই শক্র আমার প্রতি তীর নিক্ষেপ করেছে, তখনই ওই নারী তীর আমার শরীরে লাগতে দেননি। যখনই তীর এসেছে ওই নারী ঘুরে ঘুরে আমাকে নবীকে সেফ করেছেন। তিনি হলেন সেই মহিলা সাহাবী মুসাইবা (রা:)।’ রাসূল যদি নারীকে যুদ্ধ ক্ষেত্রে কর্ম দিয়ে থাকেন তাহলে আমরা কে তাদের হাত বন্ধ করার।

তিনি বলেন, আমাদের ব্যাপারে ইসলামের প্রতিপক্ষ শত্রুরা অপপ্রচার চালায় যে, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে মহিলাদের ঘর থেকে বের হতে দিবে না। আর যদি দেয়ও তাদের জোর করে একটা বোরকা পরিয়ে দিবে।

জামায়াতের আমীর নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে কারো ওপর জোর খাটানো হবে না। যখন ইসলাম কায়েম হবে তখন মা-বোনেরা আনন্দের সাথে ইজ্জত রক্ষার জন্য পর্দা পালন করবে। এরপরও যদি কোন মা বোন পোশাকের ক্ষেত্রে আপত্তি থাকে তাদের কোনো রকম বাধ্য করা হবে না। এদেশে অন্য ধর্মের মানুষ বসবাস করে। অন্য ধর্মের মানুষকে ধর্ম গ্রহণ ও পর্দা করতে বাধ্য করা হবে না। অমুসলিমদের উপাসনালয়ে পাহারা লাগবে না।

আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে মর্যাদা দেওয়া হবে। পরিচ্ছন্ন কর্মীরাও আমাদের কাছে ভিআইপি। রিকশাওয়ালাকেও স্যালুট জানাই। তাদের কাজের মর্যাদা দেওয়া হবে। কৃষকসহ আপামর জনতা সম্মান ও মর্যাদার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি বলেন, চমৎকার সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির দেশ আমাদের বাংলাদেশ। কিন্তু আমাদের বাগানে মাঝে মধ্যে হুতুম পেঁচা ঢুকে পড়ে। হুতুম পেঁচাদের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সম্প্রীতি নষ্ট হতে দিবো না। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই; সব মানুষকে কাজের মর্যাদা দিবো। আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে সবাই কাজ পাবে। যুব সমাজের হাতে কাজ তুলে দিতে চাই্। বয়স্করা কি বেজার হয়েছেন? আমি মনে করি অবশ্যই না। ছেলের কৃতিত্ব বাবার কাছে অটোমেটিক হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, এই যে ২৪-এর স্বাধীনতা এমনি এমনিতে আসেনি। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর প্রকাশ্যে দিবালোকে লগি বৈঠা দিয়ে আমাদের সন্তানদের হত্যা করে তাদের ওপর খুনিরা লাফালাফি করেছে। সেইদিন বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। সেই পথহারা বাংলাদেশ দীর্ঘ পথ পরিক্রমার পর ২০২৪ সালে আবার তার পথে ফিরে এসেছে। এর মাঝে অনেক রক্ত দিতে হয়েছে। ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসারকে খুন করা হয়েছে। এরপর জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দকে খুন করা হয়েছে। শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বিচারের নামে জুলুম করে হত্যা করা হয়েছে।

এছাড়া আপনাদের পাশ্ববর্তী জেলা ঝিনাইদাহে খুনের তান্ডব চালানো হয়েছে। সবশেষ ২০২৪ পর্যন্ত খুনের রক্তে ভাসতে হয়েছে। এসব অভিযোগে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে এসেছিল। তারা বুক চিতিয়ে দিয়েছিল। তারা বলেছিল, কোটার নামে জাতির সাথে মেধার সাথে তামাশা করবেন, তা আমরা মানবো না। এই আন্দোলনে ছাত্রদের হাতে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না। এমনকি তাদের হাতে কোনো ইট-পাথরও ছিল না। কিন্তু সরকার একদিকে তাদের বাহিনীকে নামিয়ে দিলো; আরেক দিকে সরকার তাদের সশস্ত্র গুন্ডাদের নামিয়ে দিলো। এতে দেড় হাজারের বেশি আমাদের সন্তান দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোর থেকে ২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত জালিমদের অত্যাচারে যারা বিদায় নিয়েছেন, হে আল্লাহ! তাদের রূহ নূর দ্বারা পরিপূর্ণ করে দাও। আমরা আল্লার দরবারে দোয়া করি তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করুন।

তিনি বলেন, আসার পথে দেখলাম রাস্তাঘাটে উপচেপড়া মানুষ। বাংলাদেশকে প্রাণ উজার করে ভালবাসি। জুলুম করা হলেও দেশ থেকে পালিয়ে যাইনি। যারা দেশকে ভালবাসে তারা পালিয়ে যেতে পারে না। এখানে বাঁচতে চাই। লড়াই করতে চাই এবং এই দেশকে দুনিয়ার একটি শ্রেষ্ঠ দেশে পরিণত করতে চাই।

কেউ কেউ সুরসুরি দিয়ে বলেছিল, তারা ক্ষমতা হারালে তাদের ৫ লাখ লোককে হত্যা করা হবে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, হত্যা করা জী হয়েছে? সমস্বরে জনতার জবাব, না।

তিনি আরও বলেন, উস্কানি দেওয়া হলেও পাতানো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দেশে বিদেশে সমান তালে লড়াই করা হয়েছে। বিদেশে যারা আছেন তাদের অভিবাদন জানাই। তাদের আত্মীয়-স্বজনকে হয়রানি করা হয়েছে। এরা পশু। পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। ঐ জাত থেকে চিরমুক্তি চাই। জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে এরা যেন আর কখনো ফিরে না আসতে পারে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ বলেন, ইনসাফপূর্ণ সমাজের জন্য গণঅভ্যুত্থান সফল করতে হলে সৎ নেতৃত্বে কায়েমের বিকল্প নাই। সকল পর্যায়ের নেতৃত্বে সৎ মানুষের সমাহার ঘটাতে হবে। নইলে আমরা প্রতারিত হবো।  ৪৭ সাল ও ৭১ সালের স্বাধীনতায় আমরা স্বাধীন হতে পারেনি। আসুন, আমরা কাক্সিক্ষত সমাজ পেতে সাতক্ষীরা জেলার ৪টি আসন সহ সবখানে যোগ্য মানুষের নেতৃত্ব কায়েম করি।

কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের মৃত্যুর ভয় দেখাতে চেয়েছিল। কিন্তু মাওলানা নিজামী প্রমাণ করেছেন যে আমরা মৃত্যুকে ভয় করি না। তারা মূলত বাঘের লেজে পা দিয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলার সাবেক আমীর ও খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মুহাদ্দিস রবিউল বাশার বলেন- জালিম সরকার বিচারিক হত্যা করেছে। মিথ্যা মামলায় হয়রানি করেছে। বারবার নেতার পরিবর্তন হলেও নীতির পরিবর্তন হয়নি। স্বাধীনতা এখনো বাকী রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, সাতক্ষীরাতে আমাদের ৪৬ জন ভাইকে শহীদ করেছে। কিন্তু আমাদের নরম করতে পারেনি। ইসলামী আন্দোলনের জন্য সাতক্ষীরা দেশের মডেল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সাবেক এমপি ও জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করেছিল এই দেশ থেকে তারা জামায়াত-শিবির উৎখাত করবে। কিন্তু তারা নিজেরাই উৎখাত হয়ে গেছে।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেদ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান মাদানী, জেলা নায়েবে আমীর নুরুল হুদা, ডা. মাহমুদুর হক, খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম, অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান, খুলনা মহানগর আমীর অধ্যাপক মাফুজুর রহমান,বাগের হাট জেলা আমীর মাওলানা রেজাউল করিম প্রমুখ। কর্মী সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলার আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল।

জেলা সেক্রেটারি আজিজুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ তিন বার ভোট চুরি ডাকাতি এবং প্রশাসনের লোকজনকে দিয়ে করিয়েছে। দেশের মানুষের অধিকার হরণ করেছে। তিনি বলেন নতুন বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ।

কর্মী সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সহকারী সেক্রেটারি গাজী সুজাআত আলীম অধ্যাপক ওবায়দুল্লাহ, মাওলানা ওসমানগণি, সাতক্ষীরা শহর শাখা সভাপতি আল-মামুন ও জেলা শাখা শিবিরের সভাপতি ইমামুল ইসলাম প্রমূখ।

বেলা তিনটায় ডা. শফিকুর রহমান সম্মেলনের সভামঞ্চে আসেন। ততক্ষণে কর্মী সম্মেলনের মাঠ ছাড়িয়ে আশপাশের অলিগলি মানুষে মানুষে সয়লাব হয়ে যায়। শহরের অলিগলি পেরিয়ে বাসাবাড়ীর ছাদে ওঠেও কর্মী সম্মেলনের ভাষণ শোনার চেষ্টা করেন। এসময় পুরো সাতক্ষীরা শহর উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়।

এদিকে এর আগে জেলা শহরের পল্লীমঙ্গল হাইস্কুল মাঠে রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ডা. শফিকুর রহমান। সেখাানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter