দৈনিক সহযাত্রী

শিরোনাম

বিটিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হলেন বরিশালের সুজন লস্কর

ওমরাহ ভিসা

সহযাত্রী ডেস্কঃ চলতি বছরের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টিভি চ্যানেল বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) পল্লীগীতির সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে স্থায়ীভাবে মনোনীত হয়েছেন বরিশালের উজিরপুর থানার ডহর পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ সুজন লস্কর।

সঙ্গীত এর কন্ট্রোলার/ প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও অডিশন গ্রেডেশন নির্বাচনী কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ মোল্লা আবু তৌহিদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) শিল্পীদের তালিকাভূক্ত করার প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা দেয় গত বছরের শেষের দিকে। পল্লীগীতি, আধুনিক গান, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, উচ্চাঙ্গসংগীত, দলীয় সংগীত, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ক্যাটাগরিতে অডিশন শুরু হয় ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে। উক্ত অডিশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন মোহাম্মদ সুজন লস্কর। এর প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ বিচারক কর্তৃক তার পরিবেশনা মূল্যায়ন ও কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ টেলিভিশনে পল্লীগীতির সংগীত শিল্পী হিসেবে “গ” শ্রেণীতে তাকে তালিকাভুক্ত করা হয়।

সুজন লস্করের সংক্ষিপ্ত পরিচয়-
সুজন লস্কর ১৯৮৯ সালে বরিশালের উজিরপুর থানার ডহর পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল মান্নান লস্কর। সাত ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। শিক্ষা জীবনে তিনি এসএসসি এবং এইচএসসি পাশ করেন নিজ গ্রামের এস ডি ইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও গুঠিয়ার আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজ থেকে। পরবর্তীতে তিনি কক্সবাজার সরকারী কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও কক্সবাজার সিটি কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করেন। বর্তমানে তিনি সংগীতের পাশাপাশি কক্সবাজারে একটি তিন তারকা মানের হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে কর্মরত রয়েছেন।

সঙ্গীত চর্চা শুরু যখন থেকে-
১৯৯৯ সাল থেকেই তিনি সঙ্গীত চর্চা শুরু করেন।
প্রথম গানের হাতেখড়ি শুরু হয় ওস্তাদ আক্কেল আলী হাওলাদারের কাছ থেকে। এরপর পর্যায়ক্রমে তিনি  শ্রী সুবাস চন্দ্র হালদার ও অজিত কুমার এর কাছ থেকে সঙ্গীত শিক্ষা নেন। বর্তমানে তিনি ওস্তাদ সুশীল দাস এর কাছে নিয়মিত গানের চর্চা করছেন।

এর আগেও সুজন লস্কর বাংলাদেশ বেতার বরিশালে গান করেন। এছাড়াও বিভিন্ন প্রোগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে গান করে আসছেন।

বিটিভিতে তালিকাভুক্ত হওয়ায় তার অনুভূতি- বাংলাদেশ টেলিভিশনে সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ায় সাংবাদিকরা তার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এতো দ্রুত আমি তালিকাভুক্ত হতে পারবো আশা করিনি। সম্মানিত বিচারকরা আমার গান শুনে অনেক খুশি হয়েছেন। এতো বড় স্টেজ প্রতিযোগিতা করতে পেরে এবং আমি তাদের মাঝে গান শুনাতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। গানের মাধ্যমে এতো দূর আসার পিছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি আমার স্ত্রী, তার অনুপ্রেরনা থেকে মূলত এতদূর আসা। পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সবার সহযোগিতা পেলে সামনে আরো ভালো কিছু দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter