সহযাত্রী ডেস্ক: ভারতীয় পণ্য বর্জন এখন ঈমানী দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ। সোমবার দেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে রাজধানীর মালিবাগ স্কাই সিটি হোটেলে ‘ইফতার ও দোয়া মাহফিলের’ আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট। ইফতার পূর্ব বক্তব্যে নেতারা এ কথা বলেন। বিভিন্ন দলের নেতাদের উপস্থিতিতে ১২ দলীয় জোটের ইফতার মেলা মিলন মেলায় পরিণত হয়। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এলডিপি মহাসচিব ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহদাত হোসেন সেলিম।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহান আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া জ্ঞাপন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেন, জালিমের কারাগার থেকে রমজানের আগেই বের হয়েছি। নেতাকর্মীরা আন্দোলনে ছিল। একটি সশস্ত্র সিন্ডিকেট আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নিরীহ জনগণের প্রতিবাদ এর চেয়ে বেশি আর কী হবে। দেশের জনগণ সঠিকভাবে এর প্রতিবাদ করেছে।
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন কায়দায় এ নির্বাচনকে নির্বাচন হিসেবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। নিজ দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছে আবার বিরোধী দলের সাথে বসে পিঠা ভাগাভাগি করেছে। বিশ্বে এমন উদার গণতন্ত্র দেখেছে বলে আমার মনে হয় না। সে গণতন্ত্রকে আমরা ধিক্কার জানাই।
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ভোটের অধিকার অস্বীকার করার কারণে যখন পুরো জাতি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। তখন একটি দল তার কৃতিত্ব দাবি করে। অথচ সেই দলের হাত দিয়ে গণতন্ত্রে পেরেক মারা হবে, সেটি কেউ কল্পনাও করেনি। এ আন্দোলনে আমাদের কোনো পরাজয় হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, যারা জনগণের ভোট ছিনতাই করেছে পরাজয় তাদের হয়েছে। ইতিহাসে এ দায় তারা কখনো মুছতে পারবে না। এ দায় তাদেরকে স্বীকার করতেই হবে। জনগণ আমাদের সাথে আছে আমার কিছুই হারাইনি। যারা পার্লামেন্ট হাইজ্যাক করেছে তাদের কাছ থেকে জনগণের অধিকার ছিনিয়ে আনতে আমাদের এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণ অধিকার পরিষদ একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, জাগপার সিনিয়র সহ সভাপতি রাশেদ প্রধান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন শামসুদ্দিন পারভেজ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের চেয়ারম্যান মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাগপার আরেকাংশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, গণ অধিকার পরিষদের আরেকাংশের আহবায়ক কর্ণেল ড. মশিউজ্জামান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব মুহাম্মদ আবু হানিফ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টি মহাসচিব আবুল কাশেম উদ্দিন খোকন প্রমুখ।