দৈনিক সহযাত্রী

শিরোনাম

মেঘনা নদীতে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, ১ যাত্রী নিহত

ওমরাহ ভিসা

আব্দুল্লাহ শুভ: ঘন কুয়াশায় চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভোলা থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী সুরভী-৮ এবং টিপু-১৪ লঞ্চের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সুরভী-৮ লঞ্চের ব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান।

নিহত মো. সোহেলের (৩০) বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। সোহেলের দেড় বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।

সুরভী-৮ লঞ্চে থাকা যাত্রী শাফায়াত আহমেদ রাজিব জানান, সোমবার রাত ৯টায় ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে প্রায় আড়াই শ’ যাত্রী নিয়ে সুরভী-৮ লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।

সুরভী-৮ লঞ্চের ব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান জানান, মেঘনা নদীর হাইমচর এলাকায় পৌঁছালে তাদের লঞ্চের সঙ্গে ঢাকা থেকে ভোলার চরফ্যাশনগামী টিপু-১৪ লঞ্চের সংঘর্ষ হয়।

“এতে সুরভী-৮ লঞ্চটির ডান অংশ ভেঙে যায়। আহত হন লঞ্চের কয়েকজন যাত্রী। পরে আহতদের মধ্যে সোহেল নামে এক যাত্রী মারা যান।”

তিনি আরও বলেন, “ঘন কুয়াশায় এ ঘটনা ঘটেছে। এতে সুরভী-৮ লঞ্চের প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”

চাঁদপুর নীলকমল ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান বলেছেন, রাতে দুই লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় কিন্তু লঞ্চ দুটি ঢাকা ও ভোলার দিকে যার যার গন্তব্যে চলে যাওয়ায় সেগুলো পাওয়া যায়নি।

তবে রাতে লঞ্চটি হাইমচরের ডুবোচরে আটকা ছিল জানিয়ে সুরভী-৮ লঞ্চের ব্যবস্থাপক মিজানুর মঙ্গলবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জোয়ার আসার পর লঞ্চটি ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

নিহত সোহেলের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সুরভী লঞ্চের এই কর্মকর্তা।

এমভি টিপু কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন বলেছেন, এমভি টিপু-১৪ লঞ্চের কোনো যাত্রী আহত হননি। তবে সংঘর্ষে লঞ্চের কি কি ক্ষতি হয়েছে তা এখনও জানায়নি।

সদরঘাট নৌ-থানার ওসি আবুল কালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সংঘর্ষে সুরভী লঞ্চের এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। সুরভী লঞ্চের কেবিন অংশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ এর পরিবহন পরিদর্শক এবিএস মাহমুদ বলেছেন, সুরভী লঞ্চটি মঙ্গলবার সকাল ৮টায় সদরঘাট পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, ঘনকুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে লঞ্চের মাস্টার বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তবে এই দুর্ঘটনায় দুই লঞ্চের মাস্টারদের কোনো গাফিলতি আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter