দৈনিক সহযাত্রী

শিরোনাম

যে তিন দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবনে গেলেন সোহেল তাজ

ওমরাহ ভিসা

সহযাত্রী ডেস্ক: তিনটি দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ ওরফে সোহেল তাজ। আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের বিপরীতে (দক্ষিণ দিকে) মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে প্রথমে ওই দাবিগুলো নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি করেন। পরে পদযাত্রা করে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন তিনি।

সোহেল তাজের দাবি তিনটির প্রথমটি হচ্ছে, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়। তাই এ দিনকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।

অন্য দুটি দাবি হচ্ছে, ৩ নভেম্বর ‘জেল হত্যা দিবসকে’ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে এবং জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান, জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
গণভবনের ফটকে সোহেল তাজের কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান। এ সময় সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

এর আগে অবস্থান কর্মসূচিতে সোহেল তাজ বলেন, ‘অনেকেই হয়তো বলবেন, এখন ইতিহাস নিয়ে কথা বলে লাভ কী? আমি বলতে চাই, আমাদের মতো গৌরবের ইতিহাস পৃথিবীর খুব কম দেশেরই আছে। একটি দেশকে এগিয়ে নিতে হলে নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। তাহলেই তারা পতাকা হাতে সামনে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হবে।’

যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনার মতো গৌরবের ইতিহাস মানুষের জীবনে আর কী হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম এ শক্তিকে ধারণ করুক। আর ইতিহাসে যেন কোনো কালোশক্তি হানা দিতে না পারে। মনে রাখতে হবে, সঠিক ইতিহাস না জানলে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করা যাবে না।

দেশের উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সোহেল তাজ বলেন, ‘দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে, ডানে-বাঁমে তাকালেই দেখা যাবে। পদ্মা সেতু থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট করে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমি মনে করি, এ উন্নয়নের পাশে মানুষের উন্নয়নও করা প্রয়োজন। কারণ, নতুন প্রজন্মকে নৈতিক ও সৎ চরিত্র গঠন করে তাদের সঠিক দিক দেখাতে হবে।’

দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ঋণশোধের স্বার্থে ও সম্মানার্থে তিনটি দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter