দৈনিক সহযাত্রী

বঙ্গবাজারে ভয়াল আগুন, একনেক সভায় যে নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

সহযাত্রী ডেস্ক: রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কেন বারবার ঘটছে- সেটির কারণ অনুসন্ধানের পাশাপাশি এর সমাধানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা দেন। একনেক সভায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। এক পর্যায়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।

সভা শেষে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

একনেক সভার বরাত দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সভায় বঙ্গবাজারে আগুনের বিষয়টি আলোচনায় আসে। প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। তিনি অনেক কষ্ট পেয়েছেন, অনেক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এতোগুলো পরিবার ঈদ সামনে রেখে কী করবে, এই ভেবেও প্রধানমন্ত্রী অনেক কষ্ট অনুভব করেন।

এ সময় মন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সরকার কোনো সহায়তা দেবে কিনা? জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আমার পরিষ্কার জানা নেই। তবে আমার মনে হয় কিছু একটা করা হবে।

এদিকে বিকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, সরকার এই অগ্নিকাণ্ডে সহায়-সম্বল হারিয়ে পথে বসা ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। এই আগুনের ক্ষতি নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের পুনর্বাসনে যথাযথ সহায়তা দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে তাদের পুনর্বাসনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, বঙ্গবাজারে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের পাশাপাশি সেনা বাহিনী ও বিমানবাহিনীর দুটি দল প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় বেলা ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এরমধ্যে বঙ্গবাজার মার্কেট, মহানগর মার্কেট, আদর্শ মার্কেট ও গুলিস্তান মার্কেট পুরোপুরি ভষ্মীভূত হয়ে যায়। পাশের পুলিশ সদর দপ্তরের একটি ভবন, এনেক্সকো টাওয়ারসহ আরও কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় আগুনে। বঙ্গবাজারের এ অগ্নিকাণ্ড স্মরণকালের ভয়াবহ ঘটনা।

বাংলাদেশে পাইকারি কাপড়ের বৃহৎ আড়ত হিসেবে পরিচিত রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজারের ৮টি মার্কেটের অন্তত ৫ হাজার দোকান ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

দোকানগুলোতে ৫ লাখ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত মূল্যের মালামাল ছিল বলে জানিয়েছেন তারা। সহায়-সম্বল হারানোর পাশাপাশি অনেকে বিভিন্ন ব্যাংকে বড় অংকের ঋণ রয়েছে বলেও জানান ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter