দৈনিক সহযাত্রী

শিরোনাম

পুলিশি হেফাজতে জামায়াতের নেতাকর্মীদের নির্যাতন: নূরুল ইসলাম বুলবুলের নিন্দা

ওমরাহ ভিসা

সহযাত্রী ডেস্ক: রাজধানীর মালিবাগে গণমিছিল থেকে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের থানায় নিয়ে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের নিন্দা করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে জামায়াতে ইসলামীর শান্তিপূর্ণ গণমিছিলে পুলিশ সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বাধা প্রদান করে। সেখানে বিনা উস্কানিতে পুলিশ জনগণের শান্তিপূর্ণ মিছিলে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও গুলি করে। পুলিশের হামলায় পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ ৫৩ জন জামায়াত নেতাকর্মী আহত হয় এবং অসংখ্য নেতা-কর্মীদের পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের ওপরে থানায় পুলিশি হেফাজতে বর্বর ও অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। থানা হেফাজতে পুলিশের নির্যাতনে জামায়াত কর্মী কাওসার সুমনের হাত ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। আরো নির্যাতনের লক্ষ্যে তাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের রিমান্ড বাতিল করে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সাংবিধানিকভাবে দেশের যেকোনো নাগরিক তার ন্যায্য দাবিতে মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন করার অধিকার রাখে। অথচ রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে পুলিশের বর্বরোচিত নির্যাতন ও হাত-পা ভেঙ্গে ফেলার ঘটনা, স্বাধীন দেশে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অথচ এখন তারা ক্ষমতাসীনদের পেটুয়া বাহিনীতে পরিণত হয়ে প্রতিনিয়ত বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে।

নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, মূলত জবাবদিহিতার অভাব ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফলে তারা এমন ন্যাক্কারজনক কর্মে লিপ্ত হচ্ছেন তারা। দমন-পীড়ন ও জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সমূহকে এই অমানবিক আচরণ পরিহার করে সংবিধানের আলোকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় তাদেরকেও এই অমানবিক আচরণের জন্য বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter