দৈনিক সহযাত্রী

শিরোনাম

জামায়াত আমিরের মুক্তির দাবিতে লন্ডনে বিক্ষোভ সমাবেশ

ওমরাহ ভিসা

সহযাত্রী অনলাইন ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমানকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়ার প্রতিবাদ ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে লন্ডনের বিখ্যাত অলতাফ আলী পার্কে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর প্রবাসী বাংলাদেশীরা ইস্ট লন্ডন মসজিদ-সংলগ্ন আলতাফ আলী পার্কে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।

ইউকেভিত্তিক সংগঠন সেইভ বাংলাদেশের আয়োজনে এবং মানবাধিকার কর্মী মো: তরিকুল ইসলামের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগরীর সাবেক সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম শাহীন। মহিউদ্দিনের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে প্রতিবাদ সভার সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইউরোপের মুখপাত্র ব্যারিষ্টার আবু বকর মোল্লা। বিশেষ অতিথি ছিলেন আমার দেশ ইউকের নির্বাহী সম্পাদক অলিউল্লাহ নোমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার একটি বিশেষ হীন উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমিরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমান এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে কলঙ্কিত করার জন্য উগ্রবাদী কার্যক্রমে সম্পৃক্ততার জঘন্যতম অভিযোগ এনেছে। কিন্তু আশার বিষয় হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটি বর্তমান সরকারের জামায়াতের বিরুদ্ধে আনা এহেন ঘৃন্য অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

অলিউল্লাহ নোমান বলেন, বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকার কৌশল হচ্ছে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদেরকে গ্রেফতার করা। তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি বাংলাদেশের মানুষ সরকারের এহেন আচরণ সহ্য করবে না। জনগণ অচিরেই তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমিরসহ সকল বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে মুক্ত করবে ও আধিপত্ববাদের অবসান ঘটাবে’।

তরিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমানকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে সাত দিনের রিমান্ড দিয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার অন্যায় করেছে। তিনি ঐতিহাসিক আলতাফ আলী পার্ক থেকে সেইভ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এমন আচরণের তীব্র নিন্দা ও অবিলম্বে ডা: শফিকুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

সাবেক ছাত্র নেতা আব্দুল্লাহ আল মুনিম বলেন, ডা: শফিকুর রহমান এবং আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীকে গ্রেফতার করে আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না।

মো: মাহিন খান বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক দল। জামায়াতের সাথে উগ্রবাদী কার্যক্রমের বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই এবং তারা এই কার্যক্রমে বিশ্বাসীও নয়।

সভপতির বক্তব্যে সিরাজুল ইসলাম শাহীন বলেন, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়ায় সকল জায়গায় জামায়াত ইসলামী আছে এবং থাকবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জামায়াত আমিরকে আটক করে যুগপৎ আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। অবিলম্বে তাকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

প্রতিবাদ সমাবেশের শেষ পর্যায়ে এসে একাত্বতা ঘোষণা করেন যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি এম এ মালেক। দেশী বিদেশী প্রিন্ট ও টিভি মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকের সভাপতি মুসলিম খান, পিচ ফর বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আইনজীবী মো: ডলার বিশ্বাস, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মুকুল, কমিউনিটি নেতা মাওলানা শামীমুল হক, মো: আশরাফুল ইসলাম ফেরদৌস, কমিউনিটি নেতা শাহরিয়ার আলম সিফার, বিশিষ্ট অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ও মানবাধিকার কর্মী মো: আব্দুর রহমান (খোকা), আমিনুল হক চৌধুরী, যুক্তরাজ্য বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মো: শামিম, বাংলাদেশ সলিডারিটি সমিতির সভাপতি মাওলানা রেজাউল হোক, মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম ভুঁইয়া, সাংবাদিক মাহবুব আলি খানসুর, সাংবাদিক আব্দুল বাকী, কমিউনিটি নেতা নুর বক্স, দেলয়ার হোসেন, জয়নাল আবেদীন, প্রফেসর মোজাম্মেল হোসেন, মানবাধিকার কর্মী আহমদ আলী, শাহান বিন নিজাম, কমিউনিটি নেতা আনিসুল হক, মো: আমিনুল ইসলাম সফর, মোহাম্মদ আলী, মানবাধিকার কর্মী মুহাম্মাদ তারেকুল ইসলাম, মো: হাদিছুর রহমান খান, কমিউনিটি নেতা আনিসুল হক, মো: মিফতা উদ্দীন, আরিফ আহমদ, রায়হান আহমদ, আলিম উদ্দীন প্রমুখ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter