দৈনিক সহযাত্রী

শিরোনাম

বিএনপি যেদিন সফল হবে ঘোড়া সেদিন ডিম পাড়বে: ওবায়দুল কাদের

ওমরাহ ভিসা

সহযাত্রী ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দশ তারিখে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে, ৩০ তারিখেও ব্যর্থ হবে। বিএনপি যেদিন সফল হবে ঘোড়া সেদিন ডিম পাড়বে।

আজ শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনের রাস্তায় এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে সেখান থেকে বিজয় শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে আমেরিকান দূতাবাস, তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো টানাপোড়েন হলে আমরা কূটনৈতিকভাবে আলোচনা করে ফয়সালা করব। আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভেদ সৃষ্টির উস্কানি দিচ্ছে বিএনপি।’

তিনি বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দূতাবাসকে আশস্ত করছি, কূটনীতিকদের জন্য নিরাপত্তার কোনো অভাব বাংলাদেশে নেই। শেখ হাসিনার বাংলাদেশে, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সবাই নিরাপদে থাকবেন। আজকে যদি কোনো টানাপোড়েন হয়, তার বিচার চাইবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু আপনারা (বিএনপি) এটা বলার কে?’

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জনগণ আপনাদের ১০ তারিখে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। কী পাইছে? পাইছে অশ্বডিম্ব। আগামী ৩০ তারিখেও ঘোড়ার ডিম পাড়বে। যদি তারা সফল হয় ঘোড়া সেদিন ডিম পারবে।’

দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনো দিকে কান দেবেন না। প্রস্তুত থাকেন, খেলা হবে প্রথমে ফেমিফাইনাল তারপর ফাইনাল খেলা। আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান। আগামী নির্বাচনে হবে ফাইনাল খেলা, আন্দোলনেও তারা (বিএনপি) হারবে, নির্বাচনেও তারা হারবে।’

এ সময় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে ‘মায়ের ডাক’ নামের এক সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ২০১৩ সালে নিখোঁজ হওয়া বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। সেখানে অবস্থান নেন ‘মায়ের কান্না’ নামের আরেকটি সংগঠনের সদস্যরা। তারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে কিছুটা ধাক্কাধাক্কির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

পরে নিরাপত্তাজনিত কারণে দ্রুত ‘মায়ের ডাক’-এর সঙ্গে বৈঠক শেষ করে বের হয়ে যান মার্কিন দূত। ওই দিন দুপুরে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানান।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter