সহযাত্রী স্পোর্টস ডেস্ক: আজকের সেমিফাইনালের আগে বিশ্বকাপে দুবার দেখা হয়েছে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়ার। দু’দলেরই জয় একটি করে। সব মিলিয়েও ২-২ সমতা। একটি ম্যাচ ড্র হয়েছিল। তবে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে দুদলের রেকর্ড দেখলে আশাবাদী হতেই পারেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। পাঁচবার ফাইনালে খেলা আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে কখনো হারেনি।
অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া তাদের আগের দুই সেমিফাইনালের একটিতে হেরেছে, একটিতে জিতেছে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের সেমিতে ফ্রান্সের কাছে হেরেছিল ক্রোটরা। গত বিশ্বকাপের শেষ চারে তারা হারায় ইংল্যান্ডকে।
অন্যদিকে আর্জেন্টিনা তাদের আগের চার সেমিফাইনালেই জিতেছে। ১৯৩০ আসরে যুক্তরাষ্ট্রকে ৬-১ গোলে ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপের শেষ চারে বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা।
এরপর ১৯৯০ আসরের সেমিতে ইতালি ও ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিতে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারায় দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হলেও সেবার টুর্নামেন্টের ফরম্যাটে সেমিফাইনাল পর্বটাই ছিল না।
বিশ্বকাপের শেষ চারে শতভাগ সাফল্যের রেকর্ডের পাশাপাশি আজ আর্জেন্টিনার জন্য সহায়ক শক্তি হতে পারে দর্শক সমর্থন। ৮৯ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার লুসাইল স্টেডিয়ামে আজ খাঁটি আর্জেন্টাইন সমর্থক থাকবেন ৪০ হাজারের বেশি। মেসিদের সমর্থন জানাতেই তারা কাতারে এসেছেন। এর বাইরে ভিনদেশি আর্জেন্টাইন সমর্থকের সংখ্যাও কম নয়। কাতার প্রবাসী বাংলাদেশি ও ভারতীয়রাও গলা ফাটাবেন মেসিদের জন্য। লুসাইলে এর আগে তিনটি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা।
প্রতি ম্যাচেই গ্যালারিতে নীল-সাদা ঢেউ দেখে ও ‘ভামোস আর্জেন্টিনা’ কোরাস শুনে মেসির উপলব্ধি, ‘মনে হচ্ছে ঘরের মাঠে খেলছি।’ বিপুল দর্শক সমর্থন আর্জেন্টিনার জন্য দ্বাদশ খেলোয়াড়ের ভূমিকা পালন করছে।
আর্জেন্টিনায় জন্ম নেওয়া সাবেক ফরাসি ফরোয়ার্ড ডেভিড ত্রেজেগুয়ে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ফ্রান্সের সঙ্গে তুলনা করলে আর্জেন্টিনা ঠিক একই মানের দল নয়। কিন্তু কাতারে বিপুল দর্শক সমর্থন তাদের জন্য সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করছে। মেসির কারণে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে উন্মাদনা এবার অতীতের সব আসরকে ছাড়িয়ে গেছে।’