সহযাত্রী ডেস্ক: রাজধানীর নয়াপল্টনে সংঘর্ষের সময় নিহত মো. মকবুল হোসেনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মকবুল হোসেনের ময়নাতদন্ত হয়।
ময়নাতদন্ত করা ডা. প্রভাষক সোহেলী মঞ্জুরী তন্বীকে সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার স্যার জানাবেন।
তবে মর্গ সূত্রে জানা যায়, নিহতের শরীর থেকে বেশ কিছু স্প্লিন্টার উদ্ধার করা হয়েছে। তার মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে।
নিহতের বড় ভাই নূর হোসেন বলেন, মিরপুরের কালশী এলাকায় ভাইয়ের জানাজা হবে। এরপর কালশী কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।
পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফরহাদ মাতব্বর বলেন, মকবুলের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্স মিরপুর-১২ নম্বর রোডের ব্লক-এ লালমাটি এলাকার ৮ নম্বর বাসায় নেওয়া হবে। এরপর জানাজা শেষে কালশী কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।
তিনি আরও জানান, নিহতের শরীর ও হাতে ছোট ছোট ছিদ্র ছিল। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে পুরো এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মকবুল হোসেন। আহত হন অনেকে।
পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। একই সঙ্গে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।