সহযাত্রী ডেস্ক: পল্টন এলাকায় আপাতত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার কোনো অবকাশ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপস) বিপ্লব কুমার সরকার। এখন এ এলাকায় জনসাধারণের চলাচলও বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে পল্টন থানার সামনে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
বিপ্লব কুমার বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত এই এলাকা (পল্টন) আমরা পরিপূর্ণ নিরাপদ মনে না করব, ততক্ষণ পর্যন্ত এই এলাকায় যান চলাচল, জনসাধারণের চলাচল বন্ধ থাকবে। আমরা কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে আটকাচ্ছি না। তবে এখানে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার কোনো অবকাশ নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির দলীয় কার্যালয়কে আমরা এখন আইনের ভাষায় ‘প্লেস অব অকারেন্স (পিও)’ বলছি। যে কারণে আমরা বিএনপির দলীয় কার্যালয় কর্ডন করে রেখেছি। বিশেষজ্ঞ ব্যতীত, ক্রাইম সিনের লোকজন ব্যতীত কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত পুলিশের কাজ শেষ না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এখানে কোনো কিছুই হতে দেয়া হবে না।’
তিনি জানান, গতকাল বিকেলে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। এতে আসামি করা হয়েছে দুই হাজার জনকে। এ পর্যন্ত তিন থেকে চারশত লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সমাবেশের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বলেন, এটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। যারা সমাবেশের আয়োজন করেছেন তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। জনসাধারণের চলাচল বিঘ্নিত হয় এমন কোনো স্থানে সমাবেশের অনুমতি দেবে না ডিএমপি।
মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকগুলো মামলার প্রক্রিয়া চলছে, বিস্ফোরক, নাশকতার চেষ্টা, পুলিশের ওপর হামলাসহ অনেকগুলো ধারায় মামলা হচ্ছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের সেসব মামলায় আজই আদালতে পাঠানো হবে।
বুধবারের সংঘর্ষ সম্পর্কে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, আমরা (পুলিশ) গতকাল সতর্কতামূলক অবস্থানে ছিলাম। কাউকে মারধর, হামলা করার উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু একপর্যায়ে যখন বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় ব্লক করে অবস্থান নেয়, জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে, তখন পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার রাস্তা ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। একপর্যায়ে ডিসি মতিঝিলসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা হয়। যখন পুলিশের ওপর হামলা হয় তখন জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে, বাধ্য হয়েছি অভিযান পরিচালনার জন্য। পুলিশের ওপরে হামলা হয়েছে, ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে, নাশকতার চেষ্টা হয়েছে, নাশকতার সব ধরনের উপকরণ এখানে আনা হয়েছিল বলেও আমরা জানতে পারি। পরিচালিত অভিযানে নাশকতার যাবতীয় উপাদান আমরা এখান থেকে জব্দ করেছি।
এদিকে আজ সকাল থেকেই থমথমে পরিস্থিতি নয়পল্টনে, যেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবস্থিত। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে চলছে তল্লাশি।