সহযাত্রী ডেস্ক: গুজবে কান দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা না তোলার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঘরে টাকা রেখে তো চোরকে সুযোগ করে দেওয়া, তাই না? চোরের পোয়াবারো।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, একটা গুজব ছড়াচ্ছে টাকা ব্যাংকে নেই, টাকা পাবে না। সবাই টাকা ব্যাংক থেকে তুলে ঘরে রাখে। ঘরে টাকা রেখে তো চোরকে সুযোগ করে দেওয়া, তাই না? চোরের পোয়াবারো। তারা বেশ ভালোভাবে জানবে ওই বাড়িতে টাকা আছে, যাই চুরি করি। এখন সে চোরের হাতে তুলে দেবে না ব্যাংকে টাকা থাকবে, সে টাকার মালিক যারা তাদের ওপর নির্ভর করে।
রিজার্ভ নিয়ে সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, কিছুদিন থেকে শুনতেছি যে আমাদের দেশের সবাই রিজার্ভ ও অর্থনীতি সম্পর্কে ভীষণভাবে পারদর্শী হয়ে গেছেন। গ্রামে গ্রামে চায়ের দোকানেও রিজার্ভ নিয়ে কথা।
রিজার্ভ নিয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এখন যে রিজার্ভ তাতে তিন মাস না, আমরা পাঁচ মাসের আমদানি করতে পারি। সেই পরিমাণ অর্থ আমাদের কাছে আছে।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। রিজার্ভ রেখে গিয়েছিল ২.৫৭ বিলিয়ন ডলার। আমরাই উদ্যোগ নিয়ে সেই রিজার্ভ কিছুটা বাড়াই।
ভোগ্য পণ্যের কোনো অসুবিধা হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, ইউক্রেন থেকে, রাশিয়া থেকেও আমরা আমদানি শুরু করেছি। যদিও স্যাংশনের কারণে ডলারে পেমেন্টে অসুবিধা আমরা বিকল্প ব্যবস্থা কীভাবে করা যায় তার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। আমরা এ তৃতীয়বারের মতো এখন সরকারে। অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি এ ১৪ বছরে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, আমাদের দেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে।
তিনি বলেন, যে রিজার্ভ খালেদা জিয়া রেখে গিয়েছিল ২০০৮ এর নির্বাচনের পর ২০০৯ এ যখন সরকার গঠন করি তখন দেখি পাঁচ বিলিয়নের কিছু ওপরে রিজার্ভ। সেই রিজার্ভ আমরা বাড়াই। তবে করোনার সময় যেহেতু মানুষের বিদেশে যাওয়া ছিল না, কোনো হুন্ডি ব্যবসা হয়নি বা হুন্ডি ব্যবসা বন্ধ ছিল, রেমিট্যান্স সরাসরি সরকারিভাবে এসেছে, বিদেশে যাওয়ার খরচ ছিল না, সম্পূর্ণভাবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, যার ফলে আমাদের রিজার্ভ প্রায় ৪৮ বিলিয়নে উঠে গিয়েছিল।