সহযাত্রী ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চৌধুরী সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল নয়, পাকিস্তানের এজেন্ট। এরা গণতন্ত্রকে হত্যা করে এখন আবার গণতন্ত্রের কথা বলছে। তাদের লম্পজম্প কোনো কাজে আসবে না। এদেশে তত্ত্বাবধায়কের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না।
শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেডিয়াম মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, এখনই শুরু হয়ে গেছে মনোনয়ন বাণিজ্য। কাকে কাকে মনোনয়ন দেবে, মনোনয়নের কথা বলে বস্তায় বস্তায় টাকা নিচ্ছে। তারেক রহমান বস্তায় বস্তায় টাকা সুইস ব্যাংকে পাঠিয়েছে। তাদের এই বাণিজ্যের বিরুদ্ধে খেলা হবে, খেলা হবে আন্দোলনে, খেলা হবে নির্বাচনে। তাদের লাল কার্ড দেখাবে জনগণ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি বলেন, ১০ ডিসেম্বর নাকি শেখ হাসিনার পতন ঘটবে, আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাবে। খালেদা জিয়া হবে প্রধানমন্ত্রী, দেশে আসবে তারেক। আরে এরা তো পাগল। আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়ার মতো কোনো রাজনৈতিক দল না। পালানোর দল বিএনপি। এরাই পালিয়ে পাকিস্তানে চলে যাবে।
তিনি বলেন, আমরাতো চাই তারেক আসুক। লন্ডনে বসে যথই আস্ফালন করুক ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তার যাবৎ জীবন জেল হয়ে আছে। মানি লন্ডারিং মামলায় আরো সাত বছর। আসলেইতো লাল দালানে যাবে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগকে চাইলেই নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। এই আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ। কথায় কথায় মানবাধিকারের কথা বলেন বিএনপির নেতারা। আমি তাদের বলব আগে নিজের মুখ আয়নায় দেখুন। জাতির পিতাকে স্বপরিবারে খুন করে আপনারাই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ করেছিলেন। মানবাধিকারের কথা বলতে আপনাদের লজ্জা হয় না?
তিনি বলেন, বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার হত্যায় যেমন মীর জাফর জড়িত ছিল, জিয়াউর রহমান তেমনি খন্দকার মোশতাকের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। যে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানিরা মারতে পারেনি। ফাঁসি দেয়ার সাহস করেনি, সেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন জিয়াউর রহমান। ক্ষমতা পাওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছেন সেনাপতি জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মাস্টারমাইন্ড।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলন বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ অবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার। সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসাইন।
সম্মেলন শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরীকে পুনরায় সভাপতি এবং জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন আহমেদকে সিনিয়র সহ সভাপতি, হেলাল আহমেদকে সহ-সভাপতি ও মাহবুবুল আলম মন্টুকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।