সহযাত্রী অনলাইন ডেস্ক: বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হলো বাংলাদেশের। কাগিসো রাবাদার করা প্রথম ওভারে সৌম্য-শান্ত জুটি তুলল ১৭ রান।
কিন্তু এরপর বাংলাদেশ দলে লাগল মড়ক। একের পর এক ব্যাটার উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এলেন।
২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ।
ঝড়ের আভাস দিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না সৌম্য সরকার। সৌম্য আউটের পর তার পিছু নিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। একই ওভারে বাংলাদেশের দুই ওপেনারের বিদায় করেছেন আনরিক নরকিয়া।
তৃতীয় ওভারে নরকিয়ার ফুল লেংথ করা প্রথম ডেলিভারিটি ক্রস ব্যাটে খেলেন সৌম্য। টাইমিং হয়নি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে কিপারের গ্লাভসে জমা পড়ে বল।
সৌম্য ফিরেছেন ৬ বলে ১৫ রান করে। এর দুই বলই সাজঘরের পথ ধরেন শান্ত। নরকিয়ার ১৪৮ কিমি গতির বল শান্তর স্টাম্প উড়িয়ে দিয়েছে। ১ চারে ৯ বলে ৯ রান করেন শান্ত।
৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ২ উইকেটে ২৭। লিটন দাসকে নিয়ে উইকেটে আসেন সাকিব।
জোড়া ধাক্কার পর টিকলেন না তিনিও। নরকিয়ার তৃতীয় শিকারে পরিণত হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
নরকিয়ার স্টাম্প সোজা বলটি শাফল করে লেগ সাইডে খেলতে যান সাকিব। বল আঘাত হানে প্যাডে। এলবিডব্লিউর আবেদন করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে সাড়া দিয়ে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
৪ বলে ১ রান করে দলকে আরও বিপদে ফেলে বিদায় নিলেন অধিনায়ক। ৫ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান করে টাইগাররা। লিটন দাসের সঙ্গী হন অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন। কিন্তু অধিনায়কের পথ ধরলেন আফিফও।
কাগিসো রাবাদার গতিতে পরাস্ত হয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি।
ওভারের পঞ্চম বলে বাড়তি বাউন্স ও গতির কারণে পুল করে টাইমিং করতে পারেননি আফিফ। মিড-অফে সহজ ক্যাচ নেন ওয়েইন পার্নেল। ৫ বলে ১ রান করে ফেরেন আফিফ।
খেলার এ পর্যায়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৬৬ রান।