কানাডার জাল ভিসার ফাঁদ: যুক্তরাজ্যে বসে সিলেটের শাহেদের কোটি টাকার প্রতারণা

সহযাত্রী ডেস্ক:
ভুক্তভোগী শামসুল ইসলাম- (বামে) এবং প্রতারক শাহেদ- (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত
ভুক্তভোগী শামসুল ইসলাম- (বামে) এবং প্রতারক শাহেদ- (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

 ভিসা দেয়ার নামে ভয়াবহ প্রতারণার জালে জড়িয়েছেন নোয়াখালীর সামছুল ইসলামসহ অসংখ্য মানুষ। যুক্তরাজ্যে বসে সিলেটের শাহেদ নামের এক ব্যক্তি কানাডার জাল ভিসা দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।

ভুক্তভোগীরা জানান, তারা ঢাকার মুন্সি এয়ার ট্রাভেলস নামে একটি এজেন্সির মাধ্যমে টাকা ও পাসপোর্ট জমা দেন। প্রতিষ্ঠানটির মালিক সামছুল ইসলাম বলেন, “আমি ৫টি পরিবারের ভিসার জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা শাহেদের প্রতিনিধিকে দিয়েছিলাম। পরে জানতে পারি সব ভিসাই জাল।”

নোয়াখালীর এক গৃহবধূ তার সন্তানকে নিয়ে কানাডায় পাড়ি জমানোর আশায় ৩৫ লাখ টাকা দেন এজেন্সিকে। কিন্তু এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর পর জানা যায়, তার ভিসাটি ফেক। একইভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষক নাইমুল ইসলামও।

অভিযোগ উঠেছে, শাহেদ প্রতারণা করতে নিজ স্ত্রী ও তার আত্মীয়দেরও ছাড় দেননি। ভিসা দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকেও ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে জাল কাগজপত্র দেন। এমনকি তার বিবাহের কাবিননামাটিও ছিলো জাল।

দেশে শাহেদের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন- তার ফুফাতো ভাই রেওয়ানুল আলম রাহাত, মা জাহানারা বেগম, বন্ধু ইমরান হুসাইন, ও নারী সহযোগী মনি বেগম ও ফারহানাজ খন্দকার।
রাজধানীর পল্টন থানায় শাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে রাহাত, তার মা জাহানারা বেগমসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক পাসপোর্ট ও গুরুত্বপূর্ণ আলামত।

অন্যদিকে, প্রতারণার শিকার সামছুল ইসলাম আজ নিঃস্ব। শিক্ষক বাবার মান-সম্মান ধ্বংসের মুখে, তিনি মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন এবং সম্প্রতি ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন।

ভুক্তভোগীদের দাবি- বিদেশে থাকা প্রতারক শাহেদকে দেশে ফিরিয়ে এনে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক।

এলাকার খবর

সম্পর্কিত