দৈনিক সহযাত্রী

শিরোনাম

আমার নামেও মাছ চুরির অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল: জাফরুল্লাহ চৌধুরী

সহযাত্রী ডেস্ক: বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করেছিলাম। উনার সঙ্গে কথা ছিল- উনি আমাদের মিছিল মিটিং করতে দেবেন। উনি নির্বাচনের আগে কর্মীদের এরেস্ট করবেন না; উনি আরও আলাপ-আলোচনা করবেন। যেই আমরা কর্মসূচি দিতে শুরু করলাম উনি কথা রাখেননি। প্রধানমন্ত্রী আমার নামেও মাছ চুরির অভিযোগ দিয়ে বসলেন। আমাদের বিব্রত করে রাখলেন।

গত বছরের ১৬ মে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছিলেন।

গত নির্বাচনের আগে আপনারা শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে গিয়ে ছিলেন। সেখানে তার সঙ্গে কী কথা হয়েছিল- এমন প্রশ্নের জাবাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গতবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছিল না। আমাদের একটা ভূমিকা ছিল; আমরা বলেছিলাম সবাই মিলে যদি নির্বাচনটা করি তাহলে সুষ্ঠু করা সম্ভব হবে; কিন্তু আমরা একটা ভুল করেছিলাম।

নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, সংলাপে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সেসব রক্ষা করেনি আওয়ামী লীগ সরকার। উলটো বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর দমনপীড়ন করা হয়েছে।

জাফরুল্লাহ আরও বলেন, একই ভুল তো বারবার করা যাবে না; পাগলও একই ভুল বারবার করে না। এবার আমরা সেই ভুল করছি না। আমরা আলোচনা করে পরিষ্কারভাবে তাদের বলতে চাই নির্বাচনের দুই বছর আগেই অন্তর্বর্তীকালীন, সর্বজনীন বা সর্বদলীয় জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে সুষ্ঠু নির্বাচনকে নিশ্চিত করা হবে, ইভিএমকে কবরে পাঠানো হবে। বরং ইভিএমে কে কত চুরি করেছে তার হিসাব প্রকাশ করা হবে। সামরিক বাহিনীর কোন কর্মকর্তার কতটা যোগাযোগ আছে তাও পরীক্ষা করে দেখা হবে। সব দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter