সহযাত্রী ডেস্ক: বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ থানার দড়িরচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন থেকে সম্প্রতি ডাকাতি মামলায় ৭-৮ জন আসামীকে আটক করেন মেহেন্দীগঞ্জ থানা পুলিশ।
সর্বশেষ পুলিশের অভিযানে ডাকাতি মামলায় রুহুল আমিন দেওয়ান ও ফরহাদ হোসেন মোল্লা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। এদেরকে গত রোববার (১৮ ডিসেম্বর) মধ্যে রাতে দড়িরচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন থেকে গ্রেফতার করেন মেহেন্দীগঞ্জ থানা পুলিশ।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, এদের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।
এর আগে ৬ নভেম্বর একই ইউনিয়ন থেকে কুখ্যাত ডাকাত নাঈম দেওয়ান (২৫) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত নাঈম দেওয়ানের নামে ডাকাতি, খুন, বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
এ সময় তার কাছে থাকা একটা নলা বন্ধুক, ২ রাউন্ড কার্টুস উদ্ধার করা হয়।
একই ইউনিয়ন থেকে ৩০ নভেম্বর পুলিশের হাতে আটক হয় আরো ৪ ডাকাত, এরা হলেন ১. অহিদ দেওয়ান, পিতা মৃত কালাম দেওয়ান সাং দরিচার খাজুরিয়া ইউনিয়ন। ২. জলিল দেওয়ান পিতা আব্দুর রব দেওয়ান সাং দরিচার খাজুরিয়া। ৩. হাশেম দেওয়ান, পিতা আব্দুল দেওয়ান, সাং দরিচার খাজুরিয়া, ৪ রিয়াজ দেওয়ান, পিতা জাহাঙ্গীর দেওয়ান, সাং দরিচার খাজুরিয়া।
আটককৃতরা সবাই স্থানীয় সাংসদ পংকজ নাথ’র অনুসারী দড়িরচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আঃ ছালাম দেওয়ান, মেম্বার শহীদ দেওয়ান ও সাবেক মেম্বার ছত্তার সিকদার এর আত্মীয় স্বজন। এসব নেতাদের ছত্রছায়ায় ডাকাতদল একের পর এক অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আটককৃত ডাকাত ফরহাদ মোল্লা হলেন আ’লীগ নেতা সাবেক মেম্বার ছত্তার সিকদার এর আপন ভাগিনা, ডাকাত রুহুল আমিন কদা হলেন আপন মামাতো ভাই, নাঈম দেওয়ান ভাতিজা। আটককৃত অপর আসামি অহিদ দেওয়ান হলেন মেম্বার শহীদ দেওয়ান এর আপন ভাই, রুহুল আমিন কদা আপন ফুফাতো ভাই , নাঈম দেওয়ান আপন ফুফাতো ভাতিজা এবং একই বাড়ির লোক। এরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছালাম দেওয়ান এর বংশধর এবং কর্মী সমর্থক বলে জানান স্থানীয়রা।
এই বিষয়ে পুলিশ বলছেন, ডাকাতির মদদদাতা এবং আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা হিসেবে যদি প্রভাবশালী কেউ, এমনকি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কেউ জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেহেন্দীগঞ্জে খুন, ডাকাতি, সন্ত্রাসী, ইভটিজিং, মাদক তৎপরতা আমরা এরই মধ্যে অনেকটা কমিয়ে এনেছি।
উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত ডাকাতদল বরিশাল ও ভোলা জেলার বিভিন্ন রুটের নদীতে তাদের দলবল নিয়ে ডাকাতি করে। আর তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানামুখী অভিযোগ, সাবেক মেম্বার ছত্তার সিকদার এর বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি, চাদাবাজী মামলা, এবং শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম এর গলায় জুতার মালা পড়িয়ে হেনস্তার মামলা । মেম্বার শহীদ দেওয়ান এর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী হামলা মামলা, ছালাম দেওয়ান এর বিরুদ্ধে রয়েছে প্রতারণা মামলা, জমি দখলসহ ৫ টি মামলা।