দৈনিক সহযাত্রী

শিরোনাম

৩০ জানুয়ারির মধ্যে হজ্ব প্যাকেজ ঘোষণা: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

সহযাত্রী ডেস্ক: আগামী ২৫ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে চলতি বছরের হজ্ব প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তি নিয়ে রোববার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

ফরিদুল হক বলেন, বিমানের (বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স) সঙ্গে আমাদের মিটিং আছে, সেই মিটিং আমরা করবো। সৌদি আরবে আমরা যে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করে আসলাম তাদের সঙ্গে রেট নিয়ে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। আমরা একটা রেট বলেছি, তারা একটা রেট বলেছে, তাদের সঙ্গে আমাদের নেগোসিয়েশন চলছে, ওরা যেটা চেয়েছে সেটা যাতে না হয়। যদি ৫ শতাংশও রেট কমে সেটা বাংলাদেশের জন্য উপকার। সেই রেটগুলো আমরা হয়তো ২০-২২ জানুয়ারির মধ্যে পেয়ে যাবো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ২২ জানুয়ারি বিমানের সঙ্গে আমাদের কথা হলে আশা করছি ২৫ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে হজ্ব প্যাকেজ ঘোষণা করবো ইনশাআল্লাহ।

হজ্ব প্যাকেজের মূল্য গত বছরের মতো রাখার চেষ্টা করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারণ বাংলাদেশের হজ্বযাত্রী যারা যাবেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা যতটা স্বল্পমূল্যে তারা যেতে পারেন। যেটা আছে সেটাকে রাখার জন্য আমরা চিন্তা করছি। তারপরও কিন্তু বাড়বে। কী বাড়বে- সেটা বলি। রিয়ালের দাম ছিল ২১-২২ টাকা, এখন হয়েছে ৩০ টাকা। তাহলে ৩৩ শতাংশ তো এমনিই বেড়ে গেলো। আমরা কোনো কিছু বাড়ালাম না, কিন্তু ৩৩ শতাংশ যে বাড়লো সেটা কীভাবে কমাবেন?

সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে হওয়া দ্বিপাক্ষিক হজ্বচুক্তির উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৮ জুন পবিত্র হজ্ব অনুষ্ঠিত হবে। গত ৯ জানুয়ারি হজ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। সৌদি আররের পক্ষে নেতৃত্ব দেন হজ্ব ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক বিন ফাউজান আল-রাবিয়া। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

‘সম্পাদিত হজ্বচুক্তি-২০২৩ অনুযায়ী করোনা উত্তর পরিস্থিতিতে এবছর বাংলাদেশের কোটার পূর্ণসংখ্যক হজ্বযাত্রী হজ্বে গমণ করতে পারবেন। এবছর সর্বমোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ্বযাত্রী বাংলাদেশ হতে হজে গমন করবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজ্বযাত্রী পবিত্র হজ্ব পালন করবেন।

ফরিদুল হক খান বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৫০ শতাংশ ও সৌদি এয়ারলাইন্স ৫০ শতাংশ হজ্বযাত্রী পরিবহন করবে। এবছর বয়সের সর্বোচ্চ সীমার শর্ত তুলে দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরাও এবছর হজ্বে যেতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে হজ্বে গমনকারী সব যাত্রীর ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করা হবে। কোভিড পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে হজ্বযাত্রীর সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধির বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে।

এবছর বাংলাদেশি হজ্বযাত্রীদের ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ৮৯ হাজার ৩৮ জন হজ্বযাত্রী জেদ্দা বিমান বন্দর হয়ে যাওয়া-আসা করবেন এবং ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ৩৮ হাজার ১৬০ জন হজ্বযাত্রী মদিনা বিমানবন্দর হয়ে যাওয়া-আসা করবেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

হজ্বযাত্রীদের ইমিগ্রেশন ঢাকায় হবে ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু সক্ষমতার ঘাটতির কারণে হজ্বযাত্রীদের সঙ্গে কাছাকাছি সময়ে ফ্লাইট থাকলে বাকিদের ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে ভোগান্তি হয়- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব সক্ষমতা আল্লাহতায়ালা আমাদের সৃষ্টি করে দিচ্ছেন। থার্ড টার্মিনাল চালু হলে কয়টা বোর্ডিং আমরা দেবো ইনশাআল্লাহ, চিন্তা করেন কেন? একটু কষ্ট করতে হবে আমাদের। আমরা এবার বিমানকে চিঠি দিয়েছি, আরকেটা বোর্ডিং সংযোজন করতে পারে কি না। বোর্ডিং ব্রিজ যদি সংযোজন করতে পারি তাহলে কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

হজ্বে যেতে কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সময় গত বছরের মতোই কম থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মতো থাকতে পারে। কমতেও পারে, আমরা সেদিকেও চিন্তা করছি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter