দৈনিক সহযাত্রী

শিরোনাম

ভাসানীর দেশপ্রেমের রাজনীতি ধারণ করতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ

সহযাত্রী ডেস্ক: স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর জন্মবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের আহ্বান জানিয়ে জন্ম বার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

গতকাল রোববার মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে নেতৃদ্বয় এ আহ্বান জানান। তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ কোনো একক ব্যক্তির অবদান নয়। বাংলার মানুষের মুক্তির সংগ্রামে যারা ভূমিকা রেখেছেন, সন্দেহাতীতভাবেই মওলানা ভাসানী তাদের মাঝে অন্যতম। ভোটের রাজনীতি বা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি নয়, ভাত-কাপড়ের রাজনীতি দিয়েই তিনি মানুষকে সংগঠিত করেছেন। জনগণের শক্তির ওপর নির্ভর করেই তিনি আপসহীনভাবে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন।

আজকেও মুক্তি পেতে হলে জনগণের সংগ্রামের ওপর ভিত্তি করেই মওলানা ভাসানীর রাজনীতিকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হব। ভাসানীর দেশপ্রেমের রাজনীতিকেই আজ ধারন করতে হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, খুব বিখ্যাত ছিল মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ‘খামোশ’ বলা। সমগ্র জাতিকে ধমক দিতে পারতেন, শাসন করতে পারতেন একজন মানুষ। সমগ্র জাতির যিনি নেতা তখন ছিলেন, তাকেও শাসন করতে পারতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় স্বাধীনতার ৫১ বছর পরে এখন তার কথা আলোচনা করা হচ্ছে না।

তারা বলেন, ভাসানী ছিলেন একাধারে কৃষক নেতা, অন্যভাবে তাকে গণমানুষের নেতা হিসাবেও আখ্যায়িত করা যায়। জাতির দুর্ভাগ্য তাকে ভালোভাবে স্মরণ না করে অকৃতজ্ঞার পরিচয় দিচ্ছে। একশ্রেণীর আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়ে রাজনীতিবিদরা তাকে নিয়ে এমন তুচ্ছভাব দেখাচ্ছেন।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের এই অবিসংবাদিত নেতার জন্ম ও মৃত্যুদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনে শাসকগোষ্টি হীনমন্যতার পরিচয় দিচ্ছে।

মওলানা ভাসানীর দেশপ্রেম এবং অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক আদর্শের পথ ধরে স্বাধীনতার ঘোষণা, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম বেগবান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter