সহযাত্রী স্পোর্টস ডেস্ক: সেনেগাল তাদের রূপকথার গল্প লিখতে আবারো বিশ্বকাপের মঞ্চ মাতাতে এসেছে। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে হারিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল এই সেনেগাল। গ্রুপ ‘এ’ তে এবার তারা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নেমে প্রথমার্ধটা শেষ করেছে গোলশূন্য থেকেই। দুই দলই গোলের বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি।
সাদিও মানেকে ছাড়া সেনেগালকে যতটা খর্ব শক্তির মনে হচ্ছিল মাঠের খেলায় সেটার প্রভাব পড়েনি। বরং ফিফা র্যাংকিংয়ে অষ্টম স্থানে থাকা ডাচদের বিপক্ষে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই করেছে সেনেগাল। ম্যাচের ৪ মিনিটেই পিএসভির মিডফিল্ডার গাকপোর করা ব্যাকহিল থেকে বারউনের শট সেনেগালের ডিফেন্স ব্লক করে দেয়। ম্যাচের ৯ মিনিটে বল পায়ে সেনেগালের সারের করা শট গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
১৭ মিনিটে আবারো লাইমলাইটে গাকপো। তার বাড়ানো বলে ডেলে ব্লাইন্ডের হেড গোলবারে লেগে বাইরে চলে যায়। ১৯ মিনিটে সহজ সুযোগটি মিস করেন ডি ইয়ং। কর্নার থেকে ডি বক্সের ভেতর বল পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন এই বার্সা মিডফিল্ডার।
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ডাচ মিডফিল্ডার বারঘুইসের শট সেনেগালের চেলসির মিডফিল্ডার এডোয়ার্ডো মেন্ডি দুর্দান্তভাবে রুখে দেন। বল পজিশনে সমান অবস্থানে থেকে দুই দলই প্রথমার্ধ শেষ করে। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে সেনেগালের কোনো ম্যাচ গোলশূন্য ছিল না। তাই ফুটবল অনুরাগীরা দ্বিতীয়ার্ধে এই ম্যাচ থেকে গোল আশা করতেই পারে।