সহযাত্রী স্পোর্টস ডেস্ক: এবারের বিশ্বকাপের শুরুতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত আর তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে হেরে সেমিফাইনালের আগেই বিদায়ের শঙ্কায় পড়েছিল পাকিস্তান।
এরপর টানা দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালেও সেমিতে যাওয়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তায় ছিল বাবর আজমরা।
গ্রুপপর্বের শেষ দিনের ম্যাচে তুলনামূলক র্দুবল প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসকে হারালেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু সেই ম্যাচে প্রোটিয়ারা হেরে যাওয়ায় সুযোগ তৈরি হয় বাংলাদেশ-পাকিস্তানের জন্য।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে যারাই জিতত তাদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত। এমন সহজ সমীকরণের ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
বুধবার সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে ৭ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত করল পাকিস্তান।
এর আগে ২০০৭ সালে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে পাকিস্তান। সেবার প্রতিবেশী দল ভারতের বিপক্ষে হেরে যায় তারা।
২০০৯ সালের পরের আসরে ফের ফাইনালে উঠে পাকিস্তান। সেই আসরে এশিয়ার অন্যতম সেরা দল শ্রীলংকাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা নিয়ে ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফেরে ইউনুস খানের নেতৃত্বাধীন দলটি।
এরপর গত পাঁচ আসরে ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি পাকিস্তান। টুর্নামেন্টের অষ্টম আসরে এবার ফের ফাইনালে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দলটি।
বুধবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে পরাস্ত করে ৭ উইকেটের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে পাকিস্তান।