সহযাত্রী অনলাইন ডেস্ক: আমাদের পঞ্চইদ্রীয়ের মধ্যে দেখার মাধ্যমে চোখ খুব সংবেদনশীল একটি অঙ্গ। আর এ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি ছোট-বড় সবারই বিভিন্ন ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হতে পারে। চোখ ওঠা দীর্ঘস্থায়ী কোনো রোগ নয়। এটা একটি স্বল্পমেয়াদি রোগ। ছোট-বড় সবারই চোখ উঠতে পারে।
চোখ ওঠার লক্ষণ
১.হঠাৎ করে শিশুর চোখ লাল হয়ে যায়। অনেক সময় চোখের উপরিভাগে পাতলা ঝিল্লির নিচে ২.রক্তক্ষরণও হতে পারে।
৩.চোখের পাতা ফুলে যায়।
৪.সকালবেলা চোখে পিঁচুটি জমে চোখ আটকে যায়।
৫.সারাদিন ময়লা জমবে চোখে এবং সঙ্গে পানি পড়বে।
কী করবেন?
১.শিশুর চোখ নিয়মিত পরিষ্কর রাখুন।
২.চোখ ওঠার ফলে ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন হতে পারে। আর সেজন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।
৩.যেসব শিশু স্কুলে যায় তাদের ক্ষেত্রে কয়েকদিন স্কুলে না পাঠানোই ভালো।
৪.স্কুলে গেলে অন্য বাচ্চাটিও এ রোগে সংক্রমিত হতে পারে।
৫.বেশি ব্যথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল খাওয়ানো যেতে পারে রোগীকে।
৬.তুলা ভিজিয়ে শিশুর চোখ পরিষ্কার করুন।
- যা করা যাবে না
১.ঘন ঘন চোখে পানি দেয়ার প্রয়োজন নেই।
২.একটি রুমাল ব্যবহার করার পর বারবার সেটা ব্যবহার করা যাবে না।
৩.টিসু পেপার ব্যবহার করার পর সেটি হাতে রেখে দেয়া চলবে না। একবার ব্যবহার করার পর ফেলে দিতে হবে।
৪.একজনের চোখের ড্রপ অন্যজনের ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে করে চোখের ক্ষতি হতে পারে।
৫.শক্ত কাপড় দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা যাবে না। শিশুর চোখে কাজল দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
চোখ উঠলে শিশুকে সব ধরনের খাবার খাওয়াতে হবে। আর শিশুর চোখ ভালো রাখতে চাইলে পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন রয়েছে।