ক্ষমতার লড়াই নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য

সম্পাদকীয়
 ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশে নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ততই নানা ঘটনা ও অনিশ্চয়তা সামনে আসছে। রাজনৈতিক অঙ্গনের পর্দার আড়ালে যে শক্তি-রাজনীতি চলে, তার প্রতিফলনও দেখা যাচ্ছে নানা ইঙ্গিতে। এ সময় স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা, সংঘাত কিংবা হঠাৎ সঙ্কট তৈরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কিন্তু এই ঝুঁকির দায় এককভাবে কারো নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের।

এ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ন্যূনতম ঐক্য ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করা। কারণ যে কোনো নির্বাচন কেবল একটি দলের জয়-পরাজয়ের বিষয় নয়, এটি জাতীয় জীবনের দিকনির্দেশক ঘটনা। কিন্তু যদি কোনো পক্ষ অগ্রিম ভেবে নেয় যে, ক্ষমতায় আসবেই এবং এককভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করবে, তবে তা গোটা প্রক্রিয়াকে অচল করে দেওয়ার ঝুঁকি ডেকে আনবে। ইতিহাস বলছে, এমন আত্মতুষ্টি ও একচোখা মনোভাবই রাজনৈতিক সঙ্কটকে তীব্র করে তোলে।

নির্বাচনের স্বচ্ছতা, অংশগ্রহণ ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা সবার আগে আসা উচিত। আর এজন্য দরকার পারস্পরিক সংলাপ, সমঝোতা ও সহিষ্ণুতা। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে শত্রুতা মনে করার প্রবণতা যতদিন না কমবে, ততদিন দেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন কঠিন হয়ে থাকবে।

আমরা মনে করি, রাজনৈতিক দলগুলোকে এখনই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জনের একমাত্র পথ হলো ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়া। অন্যথায়, ক্ষমতার লড়াইয়ের আড়ালে যে বিপদ ক্রমেই বড় হচ্ছে, তা শুধু রাজনীতিকে নয়, গোটা জাতিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

এলাকার খবর

সম্পর্কিত